সিটি নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে সরকার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল আলমগীর।
বিদেশে চিকিৎসা করাতে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন দলটির মহাসচিব।
এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন। আমি আশা করব, এ অবস্থায় মানবিক কারণে সরকার তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি দেবে।’
এর আগে, খালেদা জিয়ার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করে আইন মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই করে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন কি না- সে বিষয়ে মতামত দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) রাতে শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় আবেদনপত্রটি দিয়ে এসেছেন বলে বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম নিশ্চিত করেন। এ সময় সেলিমা ইসলাম জানিয়েছিলেন, চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সিদ্ধান্ত তারা জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত হলেও, কোভিড-১৯ এর কোন উপসর্গ ছিল না বলে জানিয়েছিল তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এরপর ১৫ এপ্রিল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলেও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষে বেগম জিয়াকে আবারও তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নেয়া হয়।
এ রিপোর্টে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথমবার পজিটিভ হওয়ার ১৪দিনের মাথায় ২৪ এপ্রিল আবারও করোনা টেস্ট করানো হলে কোভিড পজিটিভই থাকে বেগম জিয়ার। এর তিনদিন পর অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নেয়া হয় একই হাসপাতাল এভারকেয়ারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সেখানেই নন-কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর গত ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে করোনারী কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। সেদিন থেকেই তিনি ৪র্থ দিনের মত সিসিইউতেই আছেন বিএনপির এই নেত্রী।
নিউজ/এসআরএস