দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিটা ওয়ার্ডে টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্র চালু আহবান বাম গণতান্ত্রিক জোটের

0

সিটি নিউজ : তেল,চাল,চিনিসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ,নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্র চালু,সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং গার্মেন্টসহ সকল শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-বোনাস পরিশোধ করার দাবিতে আজ নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ৬ মে সকাল ১১ টায় নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাম জোটের জেলা সমন্বয়ক ও সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড অশোক সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্যসচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদ,সিপিবি জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অমৃত বড়ুয়া, বাসদ জেলা কমিটির সদস্য রায়হান উদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ(মার্কসবাদী) নেতা জাহেদুন্নবী কনক।

নেতৃবৃন্দ বলেন,”করোনা মহামারীর কারণে গত একবছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ শ্রমজীবি-নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষ।বর্তমান লকডাউনে নতুন করে ১০ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সাধারণ মানুষের আয় কমে গিয়েছে,সঞ্চয় হারিয়েছেন।গত এক বছরে নতুন করে দেড় কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন। এ অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে আয় কমা সত্ত্বেও,সংসার ব্যয় দ্বিগুন বেড়েছে।সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে।সরকারের দায়িত্ব ছিল,জনগণের অর্থনৈতিক দুর্দশা মাথায় রেখে কঠোর হাতে সিন্ডিকেটের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা।কিন্তু সরকার এক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে একটা কার্যকর পন্থা হলো,টিসিবিকে সক্রিয় করা ও ন্যায্যমূল্যে ভোগ্যপণ্য জনগণের কাছে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ।অথচ চট্টগ্রাম শহরে হাতেগোনা কয়েকটি স্পটেই টিসিবির ট্রাকের দেখা মেলে,তাও শুধু অল্প চিনি ও তেল বিক্রিতেই সে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ।আমরা দাবি জানাই,চট্টগ্রামের প্রতিটা ওয়ার্ডে দ্রুত টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্র চালু করে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ন্যায্যমূল্যে জনগণের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,”গতবছরও করোনার অজুহাতে গার্মেন্টসমালিকরা সরকার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আর্থিক প্রণোদনা নিয়েছেন।কিন্তু সময়মত শ্রমিকদের বেতনবোনাস পরিশোধ করেননি। এবারও ঈদের আগে শ্রমিক কর্মচারীরা বেতন-বোনাস পাবেন কিনা,তা অনিশ্চিত।নেতৃবৃন্দ ঈদের আগে সকাল শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-বোনাস পরিশোধে মালিকদের বাধ্য করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.