চট্টগ্রাম অফিস : ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বোয়ালখালী থানার এক তরুণী।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বলেন, ‘বোয়ালখালীর বাসিন্দা এক তরুণীর দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে থানার ওসি তদন্ত ওমর ফারুক বাদিনীকে বেশ কয়েকবার অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। গত ২৭ আগস্ট বাদিনীকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু বাদিনীর ছোট ভাই সঙ্গে থাকায় ওসি ওমর ফারুক ব্যর্থ হন। এরপরও বিভিন্ন সময়ে তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু তার কুপ্রস্তাবে বাদীনি রাজি না হওয়ায় মামলার তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছেন ওমর ফারুক। সেকারণে বাদীনি আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।’
মামলার এজাহারে বাদিনী পুলিশ কর্মকর্তা ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ এর ৪ (খ) ধারায় অভিযোগ এনেছেন।
প্রসঙ্গত, মামলার বাদিনী তরুণী এর আগেও আদালতে বোয়ালখালীর এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পালন করছিলেন ওসি (তদন্ত) ওমর ফারুক। সেই সূত্রে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।
সকালে মামলাটি আদালত আমলে নিলেও বিকেলের দিকে মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছে বলে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের-১ এর সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত বোয়াখালী থানার ওসি (তদন্ত) ওমর ফারুক বলেন, ‘বাদিনীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিজের পক্ষে নিতে না পারায় বাদিনী মিথ্যা এই মামলাটি দায়ের করেছেন।’