কাযী নুরুল ইসলাম হাশেমীর (রহ.) ওরছের দ্বিতীয় দিবস অনুষ্ঠিত

বক্তারা বলেন, আল্লামা হাশেমী দেশ ও মিল্লাতের সেবায় অগ্রণী ছিলেন।

0

সিটি নিউজ ডেস্ক: আঞ্জুমানে মুহিব্বানে রাসূল (দ.) গাউছিয়া জিলানী কমিটি বাংলাদেশ ও গাউছিয়া হাশেমী কমিটি বাংলাদেশের যৌথ ব্যবস্থাপনায় উপমহাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, ইমামে আহলে সুন্নাত, পীরে কামেল, ওস্তাজুল মুহাদ্দেসীন, সুলতানুল মাশায়েখ, আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমীর (রহ.) তিন দিনব্যাপী ১ম সালানা ওরছে পাকের দ্বিতীয় দিবস ১ জুন বায়েজীদ জালালাবাদ হাশেমী নগরস্থ দরবারে হাশেমীয়া আলিয়া শরীফ সম্মুখ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন, আল্লামা হাশেমীর (রহ.) এর দৃঢ় ভূমিকার কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় কয়েকটি আলিয়া মাদরাসায় রাজাকার ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ব্যর্থ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকে জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের প্রতিবাদ আখ্যা দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রেরণা দিয়েছেন এবং একজন সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আল্লামা হাশেমী দেশ-দশের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যেমন অগ্রণী ছিলেন তেমনি একজন বহুমাত্রিক জ্ঞানীর অধিকারী হিসেবেও মাযহাব মিল্লাতের সেবায়ও সারাজীবন নিয়োজিত ছিলেন।

শাহ্জাদা কাযী মুহাম্মদ আবুল ফোরকান হাশেমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন হযরত আমির ভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিক্বত সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন আমিরী (মু.জি.আ)। প্রধান বক্তা ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়ার চেয়ারম্যান পীরে তরিক্বত আল্লামা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী (মু.জি.আ)।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহ্জাদা কাযী মুহাম্মদ আবুল এরফান হাশেমী, শাহ্জাদা কাযী হাফেজ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হাশেমী, শাহ্জাদা কাযী মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন হাশেমী, শাহ্জাদা কাযী মুহাম্মদ শরফুদ্দীন হাশেমী, শাহ্জাদা কাযী মুহাম্মদ বাহাউদ্দিন হাশেমী, শাহ্জাদা কাযী মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হাশেমী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নুরুল আবছার কাদেরী, আল্লামা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহজাহান, উপাধ্যক্ষ আল্লামা কাযী মুহাম্মদ কামরুল হাসান, অধ্যাপক আল্লামা সোলাইমান মোজাদ্দেদী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা মোজাম্মেল হক, আল্লামা সৈয়দ বশির মাইজভা-ারী, মাওলানা কাজী ওমর ফারুক আলকাদেরী, উপাধ্যক্ষ সৈয়দ নুরুল আমিন, মাওলানা মতিয়ুর রহমান জেহাদী, সৈয়দ জাহেদুল ইসলাম কাদেরী, মাওলানা মঈন উদ্দিন সমরকন্দী প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, আল্লামা হাশেমীর (রহ.) সুদীর্ঘ কর্মজীবন ছিল দেশ ও মাজহাব মিল্লাতের কল্যাণে উৎসর্গীত। কিছু জঙ্গিবাদী ও ভিনদেশীয় এজেন্টরা যখন ইসলাম প্রিয় দেশের মানুষকে ইসলামের অপব্যাখার মাধ্যমে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলো তখনই আল্লামা হাশেমী ইসলামের প্রকৃত ব্যাখ্যা প্রদান ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করেছিলেন। দেশকে জঙ্গীবাদী তৎপরতা থেকে রক্ষায় আল্লামা হাশেমীর ঐতিহাসিক ভূমিকা চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও সহনশীলতা স্থাপনে এ মহান আলেমের অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

সিটি নিউজ/এসএরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.