আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা হলেও অবহেলিত

মোহাম্মদ হারুন, সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি কাতার।

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ কাতারের মরুভূমির দেশে দীর্ঘদিন যাবত চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া নিবাসী মোহাম্মদ হারুন। যদিও বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাড়ী করে স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন। মোহাম্মদ হারুন কাতার বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।

চট্টগ্রাম সমিতির কাতারের সাবেক ভারপ্রান্ত সভাপতি ও কাতারের রাউজান সমিতির সহ-সভাপতি এবং সোস্যাল ক্লাব কাতারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ হারুনের এক ছেলে ডাক্তার চট্টগ্রাম মহানগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে কর্মরত, এক ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন জার্মানীতে, তার এক মেয়ে ইষ্ট ডেল্টায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। স্ত্রী গৃহিনী। প্রায় ৩৯ বছর যাবত কাতারে জীবন ও জীবিকার তাগিদে বসবাস করছেন। কাতারের প্রবাসীদের স্বার্থে কাজ করছেন।

গত সপ্তাহে সিটি নিউজের সাথে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ হারুন বলেন, কাতারের আইন কানুন মেনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যাক্রম বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে সীমিত পর্যায়ে চলছে। এবারও আমরা জাতীয় দিনগুলো পালন করছি। মধ্যপ্রাচ্যে রাজনীতি নিষিদ্ধ। ১৯৮২ সালে আমি কাতারে গিয়ে অবগত হলাম যে, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কাতারে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। আমি সেখানে সংযুক্ত হয়ে আজ অবদি আছি।

’৯০ সালে কেন্দ্রীয়ভাবে এই সংগঠন স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বর্তমানে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কাতারে প্রবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করছি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের মাধ্যমে আমরা দেশের সংকটজনক সময়ে সাহায্যের হাত প্রসারিত করি। আমাদের সংগঠন মূলধারার সংগঠন। আমাদের সংগঠন সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। সাম্প্রতিক সময়ে দু’জন সহ-সভাপতি হাছান মাহমুদ ও আলাউদ্দিনকে সংগঠন বিরোধী কাজের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে প্রবাসীদের সমস্যা অনেক। বিদেশে পুলিশ বন্ধু হয় সাধারণ মানুষের। এখানে হয় প্রতিপক্ষ। প্রতিদিন বিমানবন্দরে প্রবাসীরা নানাভাবে হেনস্থা ও হয়রানীর সম্মুখিন হচ্ছেন।

 

ঢাকায় ইমিগ্রেশনে দেখা গেল ১৩ টি কাউন্টারের মধ্যে ৬টি চালু আছে। এক সাথে দুবাই, মাস্কাট, কাতারসহ ৪/৫টি ফ্লাইট অবতরণ করেছে। যাত্রীরা দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশন করছেন। এটা একটা হয়রানী। এখন একজন ইন্টারন্যাশনাল যাত্রীকে ক্ষেত্রবিশেষে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা অপেক্ষা করতে ও আনুষ্ঠানাদি শেষ করতে সময় লাগছে।

বিশিষ্ট সংগঠক হারুন বলেন, দেশের অর্থনীতিকে প্রবাসীরা চাঙ্গা রাখছে। আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা। অথচ আমরা অবহেলিত। এটা দুঃখজনক। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করব। প্রবাসীরা তাদের মর্যাদা ও প্রাপ্ত সম্মান থেকে যেন বঞ্চিত না হন। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। সরকারের সফলতায় আমরাও অংশীদার।

সিটি নিউজ/জস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.