সুজিত দও, পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়ায় এক প্রবাসীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় মিথ্যা অপহরণ মামলায় শিকার মীর কাশেম নামের এক প্রবাসী সহ চার জনকে জড়িয়ে দায়েরকৃত মামলা থেকে অব্যহতি ও মাহাবুবুল বশর প্রকাশ বুলু’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী মীর কাশেম।
গতকাল (সোমবার) দুপুরে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ফকির পাড়া শাহ বদর আউলিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবদুল জব্বার, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, মফিজুর রহমান, বদর আউলিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সৈয়দ জয়নাল আবেদীন জিহাদী, মিয়া মোহাম্মদ বাদশা, হাজী মীর আহমদ, সুলতান মোহাম্মদ ইউসুফ, লিয়াকত আলী, কামাল উদ্দীন, মোহাম্মদ মাইমুন, আবদুছ ছবুর প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠকালে প্রবাসী মীর কাশেম বলেন, উত্তর খরনা মাঝির পাড়া ২নং ওয়ার্ডের মৃত বজলুর রহমান প্রকাশ বদন মুন্সির পুত্র মাহাবুবুল বশর প্রকাশ বুলু প্রবাসী মীর কাশেমের সাথে মামা-ভাগিনার সর্স্পকে পরিচয়ে সখ্যতা গড়ে তুলে। বিগত ২০১৬ সালে মাহাবুবুল বশর পাকা ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে ৩ লক্ষ টাকা ধার নেই। গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি করে মীর কাশেমকে মাহাবুবুল বশর ঠিকাদারী ব্যবসার প্রস্তাব দেয়। মাহাবুবুল বশরের ঠিকাদারী লাইসেন্স থাকলেও পূঁজি না থাকায় ব্যবসা করা সম্ভব নয় বলে মীর কাশেমের পুঁজি বিনিময়ে। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের পানি নিষ্কাশনের নালার কাজের টেন্ডার পেয়ে তা যথাযথ সময়ে কাজ শেষ করে। ঠিকাদারী কাজের হিসাব নিকাশ শেষে মাহাবুবুল বশর থেকে মীর কাশেম ১১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা প্রাপ্ত হয়। পাওনা টাকা পরিশোধের সময়ে মাহাবুবুল বশর মীর কাশেম থেকে বারংবার সময় নিলেও সময় মত টাকা পরিশোধ না করায় ইউ,এস,টি,সি’র ডাঃ নাছির সহ কয়েক জন গন্যমান্য ব্যক্তিকে বিষয়টি জানান।
প্রায় ২ বছরে সে টাকা পরিশোধ না করায় গত ১১ জুন বিকাল ৪টায় মাহাবুবুল বশরকে পটিয়া কমলমুন্সির হাট এলাকায় পেয়ে মীর কাশেমের সাথে পাওনা টাকার বিষয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় বহু লোক জড়ো হলে উভয় পক্ষ ফকির পাড়া মাদ্রাসায় গিয়ে । সেখানে খরনার ইউ,পি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও কচুয়াই ইউপি চেয়ারম্যান ইনজামামুল হক জসীম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে যে যার বাড়ীতে চলে যান।
এ পরে ১৩ জুন উক্ত ২ চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বিষয়টি অবগত করার জন্য পটিয়া থানায় গেলে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার মীর কাশেমকে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হয়েছে। এ কথা বলার পর মীর কাশেমকে হাজতে আটকিয়ে পর দিন কোর্টে চালান দেয়।
মীর কাশেম হযরত বদর আউলিয়া (রহঃ) সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও পটিয়া মডার্ণ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি সহ এলাকায় বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক কর্মকান্ডে জড়িত। ফকির পাড়া গ্রামের লোকজন মীর কাশেম সহ অন্য ৪ জনকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে মাহাবুবুল বশর প্রকাশ বুলুকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট জোড় দাবী জানান প্রবাসী মীর কাশেম।
সিটি নিউজ/এসআরএস