সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মানের চুক্তি বাতিলের দাবিতে ১০১ বিশিষ্ট জনের বিবৃতি

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : সিআরবিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের চুক্তি বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামের ১০১ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।  

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ইট-পাথরের উঁচু দালান আর শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভিড়ে শতবর্ষী বৃক্ষে ঘেরা সিআরবিকে এক টুকরো অক্সিজেন প্ল্যান্ট বলা চলে।

পাহাড়ের মধ্যে প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ করতে গেলে শতবর্ষী অনেক গাছ কাটা পড়ার পাশাপাশি এখানকার সবুজ নিসর্গ ধ্বংস হয়ে যাবে। হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থানে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুর রবের কবর, যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এই মাটি শহীদের স্মৃতিধন্য। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে এই সিআরবি তথা পাহাড়তলী ছিল বিপ্লবের সূতিকাগার।

সেইসব স্মৃতি সংরক্ষণে রেল উদ্যোগ নেয়নি। অথচ শহীদের কবর, শহীদের নামে কলোনি, শহীদের নামে যে সড়ক সেই জমি তারা বেসরকারি হাসপাতালকে বরাদ্দ দিয়েছে।

বিবৃতি আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে পরিচালিত করছেন। তাঁর সুশাসনকে কলঙ্কিত করতে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী আমলা রেলের জায়গায় বেসরকারি হাসপাতাল প্রকল্পের দুঃসাহস দেখিয়েছেন। সিআরবি এলাকায় এই প্রকল্প স্থাপিত হলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব শুধু প্রকল্পের নির্দিষ্ট স্থানেই সীমিত থাকবে না। সময়ের প্রয়োজনে এই প্রকল্প এলাকা ঘিরে নতুন স্থাপনা গড়ে উঠবে।

যার ফলে পরিবেশ দূষণ ঘটবে এবং পুরো এলাকাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বলয় হুমকির মুখে পড়বে। এ অবস্থায়, আমরা চট্টগ্রামবাসীর পক্ষে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক ঐতিহ্য ও বন্দরনগরীর ফুসফুস খ্যাত চির সবুজ সিআরবিতে শুধু হাসপাতালই নয়, কোনো ধরনের স্থাপনা করা সমীচীন হবে না।

প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনাশী সব কর্মকাণ্ডই হবে আত্মবিধ্বংসী। চট্টগ্রামের ফুসফুস ও বুকভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার স্থানটিকে ঐতিহ্য হিসাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানাই।

বিবৃতিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন:
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম,  চুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ, দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশী বাদক ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন, সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত আহমেদ ইকবাল হায়দার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আবু সুফিয়ান, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক বিশ্বজিত চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনজুরুল আলম, প্রাবন্ধিক অজয় দাশগুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক সিরু বাঙালি, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনূস, চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ, অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, নাট্যকার ও কবি শিশির দত্ত, নাট্যকার কবি ও গবেষক অভিক ওসমান, নাট্যজন ও সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী,  বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, কবি অধ্যাপক  ফাউজুল কবির, কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, কবি ও সাংবাদিক এজাজ ইউসুফী, মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ, অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, চিত্রশিল্পী-গবেষক অধ্যাপক আবুল মনসুর, চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. কাজী এস. এম. খসরুল আলম কুদ্দুসী, অধ্যাপক ড. জিনোবোধী ভিক্ষু, চবির সহযোগী অধ্যাপক মাধব দীপ, শ্রমিক নেতা মৃণাল কান্তি চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, আবৃত্তি শিল্পী ও শিক্ষক নেতা অঞ্চল চৌধুরী, নাট্যকার ও নির্দেশক রবিউল আলম, স্থপতি আশিক ইমরান, অধ্যক্ষ হাসিনা জাকারিয়া বেলা, অধ্যাপিকা ফেরদৌস আরা আলীম, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. ইদ্রীস আলী, শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম,  শিল্পী মিহির লালা, নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ম. সাইফুল আলম চৌধুরী, শিল্পী কল্পনা লালা, চিত্রশিল্পী দীপক দত্ত, নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. কুন্তল বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব সাইফুল আলম বাবু, আবদুল হালিম দোভাষ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রমার সভাপতি আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. সরফরাজ খান বাবুল, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, নাট্যকার রোসাঙ্গির বাচ্চু, ডা. মিনহাজুর রহমান, অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, অধ্যাপক  ভবরঞ্জন বণিক,  নাট্যকার নির্দেশক মুনীর হেলাল, কবি ইউসুফ মুহম্মদ, সংস্কৃতি সংগঠক ডা. চন্দন দাশ, চলচ্চিত্র নির্মাতা আনোয়ার হোসেন পিন্টু, মুক্তিযুদ্ধ অ্যাকাডেমি ট্রাস্ট চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী, শরীফ চৌহান, অধ্যক্ষ কাবেরী সেনগুপ্ত, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, চলচ্চিত্র নির্মাতা শৈবাল চৌধুরী, সংস্কৃতি সংগঠক অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্তা, কবি রিজোয়ান মাহমুদ, উন্নয়ন ও মানবাধিকার কর্মী কমল সেনগুপ্ত, কবি আবসার হাবিব, কবি জ্যোতির্ময় নন্দী, এডভোকেট মুজিবুল হক, সাবেক সাংসদ নারী নেত্রী সাবিহা মুছা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব সাংবাদিক মহসীন কাজী, মানসী দাশ তালুকদার, নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক প্রমা অবন্তী, শাহআলম নিপু, গবেষক জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক সাংবাদিক ম. শামসুল হক, নাট্যকার ও কবি অধ্যাপক সঞ্জীব বড়ুয়া, নাট্যজন অভিজিৎ সেনগুপ্ত, রনজিত কুমার নাথ, নূরুল হক সিদ্দিকী, প্রদীপ কানুনগো, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ, মো. ওসমান গণি।

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.