অবৈধভাবে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশ

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবৈধভাবে সমুদ্রপাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রায় এখন শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ। ঝুঁকি নিয়ে সাগরপাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুর তালিকাতেও প্রথম দিকে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছরে এক হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম বলছে, করোনাকালেও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, এর সমাধান বের না করা গেলে আগামীতে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ।

করোনাকালেও থেমে নেই সাগরপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রা। গেল বারের মতো চলতি বছরও ঝুঁকি নিয়ে সাগরপাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ বছর কমপক্ষে এক হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার কয়েকটি রুট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। মানবপাচারের কেন্দ্র বলা হয় লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিকে। যা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন আইওএম কর্মকর্তারা।

সংস্থাটির মুখপাত্র পল ডিলন বলেন, আমরা লিবিয়ায় সহায়তা পাঠিয়েছি। যারা অবৈধভাবে সাগর পথে ইউরোপে যেতে চেয়ে দুর্ঘটনার শিকার এবং ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছেন তাদের জন্যই মূলত এই সহায়তা। এই কাজ আমরা প্রতিনিয়তই করছি। আমাদের সবাইকে একটা জায়গায় আসতে হবে, যেন এই সংকট দূর করা যায়।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরপাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের তালিকায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। এভাবে অবৈধভাবে সাগরপাড়ি দিতে গিয়ে শুধু প্রাণই যাচ্ছে না, অনেকে সহায় সম্বল সব হারাচ্ছেন।।

গেল ২২ জুলাইও প্রাণ যায় ১৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশির। নৌকায় করে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথে সাগরে ডুবে মারা যান তারা। এর আগে গত ২৪ জুন ২৬৭ জনকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। যাদের ২৬৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি।

এর আগে আইওএম জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম অর্ধেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে চেষ্টা করা লোকজনের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। গত ছয় মাসে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করে এক হাজার ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ৫১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৯ সালে যেটা ছিল ৬৭৪ জন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বেসরকারি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো বড় ধরনের বাধার মুখোমুখি হচ্ছে। ক্রুদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দরুন নৌকার একটি বড় সংখ্যা ইউরোপীয় বন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, লিবিয়া ও ইতালির মধ্যকার ভূমধ্যসাগরীয় জলপথটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটছে। রুটটিতে ৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরের প্রাণঘাতি রুটটি হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকা ও স্পেনের কানারি দ্বীপের মধ্যকার আটলান্টিক মহাসাগরের বিস্তৃত জলসীমা। এই পথে ২৫০ অভিবাসীপ্রত্যাশীর প্রাণহাটি ঘটেছে।

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.