অভিনেত্রী মেহজাবিনকে পুরস্কৃত করল পুলিশ

0

বিনোদন ডেস্ক : নারী ট্রাফিক পুলিশদের নিয়ে এমন সাহসী একটি গল্প লিখে পুরস্কৃত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নাটকটির নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি

আলো মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে। বাবার স্বপ্ন ছিলো মেয়ে পুলিশ হবে। বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই পুলিশে যোগদেন আলো। হয়ে যান ট্রাফিক সার্জেন্ট। প্রথম দিনেই বাবার দোয়া নিয়ে কর্মস্থলে তার কাজ বুঝে নেয়।

সারাদিন প্রখর রৌদ্রের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে আলোকে নানা প্রতিকূল অবস্থায় পড়তে হয়। কিন্তু সমস্যাটা বাঁধে টয়লেট নিয়ে। কোন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনেই টয়লেট নেই।

একদিন রাতে ডিউটিরত অবস্থায় এক মাতাল ট্রাক ড্রাইভারের গাড়ি আটকায় আলো। সেই ড্রাইভারের লাইসেন্সের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ, তার উপর সে মাতাল। এ অবস্থায় গাড়ি চালালে যে কোন ধরণের বড় অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে ড্রাইভারকে আলো এ কথাটা বুঝাতেই পারছে না। ড্রাইভারটিকে মামলা দিলে সে আলোকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।

ক্রেস্ট হাতে ‘আলো’ নাটকের পরিচালক হিমি ও অভিনেত্রী মেহজাবিন

কর্মক্ষেত্রে একজন নারী সার্জেন্টের ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিবন্ধকতা নিয়ে নির্মিত হয় ‘আলো’ নাটকটি। প্রচার হয় গত কোরাবনির ঈদে। এটি নির্মাণ করেন নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি। নাটকটির গল্প লেখার পাশাপাশি ছোট পর্দার তারকা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী নারী সার্জেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেন।

দেশের নারী ট্রাফিক পুলিশদের নিয়ে এমন সাহসী গল্প লেখা ও নাটকটি নির্মাণের জন্য অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমিকে পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশ পুলিশের উইমেন্স নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)।

বৃহস্পতিবার তাদের  হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশ উইমেন্স নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন)-এর সভাপতি ও ডিআইজি (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল), স্পেশাল ব্রাঞ্চ আমেনা বেগম।

এমন সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী মেহজাবীন নিজেও। তিনি বলেন, ‘যখন এই কাজটি করি, তখন বুঝিনি বাংলাদেশ পুলিশ এই নাটকটি দেখবে এবং সবাই এত পজিটিভ ফিডব্যাক দেবেন। শুধু তা-ই নয়, আয়োজন করে যে সম্মান তাঁরা আমাদের আজ দিলেন, এটা যে কোনো অভিনয়শিল্পী বা নির্মাতার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতার। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে পারব, সেটার জন্য এই পুরস্কার অনুপ্রাণিত করবে।’

মেহজাবীন জানান, ২০১৯ সালে গাড়ি নিয়ে জ্যামে আটকে থাকার সময় একটি ঘটনা দেখে ‘আলো’ নাটকের গল্পের প্লট তার মাথায় আসে।

নাটিক নির্মাণ করে এমন পুরস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমি বলেন, ‘এটি সত্যিই আমার জন্য অন্য রকম একটা পাওয়া এবং অন্য ধরনের একটা সম্মাননা আমার জন্য। কাজটির জন্য এমন একটা সম্মাননা পাওয়া একজন নির্মাতা হিসেবে আমি বলব, আশীর্বাদ আমার জন্য। এই সম্মাননা আমার ভালো কাজের দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন বুঝতে পারছি আরও দায়িত্ব নিয়ে সামনে ভালো কাজ করতে হবে, এই উপলব্ধি হয়েছে নিজের মধ্যে।’

নাটকে মেহজাবীন চৌধুরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন আহসানুল হক মিনু, মনোজ প্রামাণিক, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.