চন্দনাইশে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক

0

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ: চন্দনাইশে রোপা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শ্রাবণের শেষে বৃষ্টিতে জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ ও জমিতে ধান রোপনে ব্যস্ত এ উপজেলার কৃষকরা। মাঠে মাঠে প্রায় সব কৃষক এখন মহাব্যস্ত আমন ধান রোপণ নিয়ে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়,দেরি হলেও মাঠ জুড়ে চলছে রোপা আমন রোপণের প্রতিযোগিতা। কেউ জমি চাষ,কেউ বা চারা রোপন করছেন। তাদের যেন দম ফেলার ফুরছুরত নেই। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার ২ টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে ৮,১৮০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার মে.টন। উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনী প্লাটের মাধ্যমে আধুনিক জাত সম্প্রসারণেও কাজ করে যাচ্ছে।রোপা আমন চাষাবাদে ১,২০৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। কৃষকরা উচু এবং মাঝারি উচু জমিতে ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯০ এবং নিচু জমিতে ব্রি ধান ৫১, ব্রি ধান ৫২ চাষ করছেন।এ পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ জমি কৃষকের রোপন কাজ সম্পন্ন করেছে। বাকি কাজ আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে মনে করেন উপজেলার কৃষক ও শ্রমিকেরা।

সাতবাড়িয়া মুন্সি বিটার কৃষক আবদুর শুক্কুরসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, আশানুরূপ ও সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জমিতে ধান রোপন করতে বিলম্ব হয়েছে। দেরি করে চাষাবাদ শুরু করতে গিয়ে কৃষকদের মাঝে কিছুটা হতাশা দেখা দিয়েছে । সে সাথে সার, বীজের দাম বেশি, শ্রমিকের মজুরীর সাথে ধান উৎপাদনের মাধ্যমে লাভের মুখ দেখতে চায় কৃষক। দেরিতে চাষাবাদ হওয়ায় আমন ধানের আশানুরূপ ফলন নিয়ে চিন্তিত কৃষক। এই মুহূর্তে শ্রমিকেরা কৃষকের জমি রোপনে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ব্যস্ততা হয়তো থাকবে আর অল্প কিছুদিন। তাই শ্রমিকেরা মনে করছেন এ সময়টা তাদের বাড়তি বা মৌসুমী আয়ের একটি অংশ।

উপজেলার বৈলতলীর শ্রমিক শাহ আলম, আবদুর রাজ্জাকসহ অনেকেই বলেছেন, ১০ শতাংশ জমি রোপনে মজুরি হিসেবে কৃষকের নিকট থেকে নিচ্ছেন থেকে ৭০০ টাকা। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, রোপা আমন মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তদারকি ও চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। রোপা আমন চাষে কৃষকদের সবধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের সবধরনের সুবিধা দিচ্ছেন। ধানের বাজারমূল্যও ভালো। এতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর উপজেলায় ধান চাষের নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

সিটি নিউজ / এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.