তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির তিন বিধায়ক, ভাঙনের মুখে বিজেপি!

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির তিন বিধায়ক। তৃণমূল এটাকে নৈতিক জয় হিসেবে দেখলেও বিজেপি বলছে, সুবিধা নেওয়ার জন্য তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছিলেন তারাই ক্ষমতার লোভে ফের নিজের ঘরে ফিরছেন।

এদিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার স্ত্রীর ওপর ইতোমধ্যেই চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারি সংস্থা ইডি জেরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে মমতার ভাইপো ও তার স্ত্রীকে।

শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভোটের পর রাজনৈতিক সহিংসতায় মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার সরকারের নীরবতা নিয়ে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই মাঠে নেমেছে।

তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে বিজেপির বিরুদ্ধে যখন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে; ঠিক তখনই রাজ্য বিজেপিকে ভাঙতে মরিয়া তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরকে দুর্বল করতে একের পর এক নেতাকে নিজ দলে ভেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মাস খানেক আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে তৃণমূলে ফিরিয়ে বড়-সড় মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিলেন মমতা। মাসখানেক পর এবার মুকুল ঘনিষ্ট দুই বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিৎ দাসকে তৃণমূলে ফিরিয়ে নিয়েছেন তিনি।

দু’জনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুলের হাত ধরেই। বিজেপি ছাড়ার পর ওই দুই বিধায়কই মোদি ও তার দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন। যা নিয়ে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি।

বিজেপিত্যাগী বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, বিজেপিতে যতদিন ছিলাম, আমি দেখেছি ওদের স্থানীয় পর্যায়ে কোন সংগঠন নেই। সব ওপর থেকে ফাঁকা গলায় আওয়াজ দেয়। কিন্তু কাজ করার কেউ নেই।বিজেপিত্যাগী বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, এখানে দিদি যেভাবে কাজ করছেন তাতে বাংলার ঘরে ঘরে মমতা পৌঁছেছেন।

ক্ষমতার কাছে থাকতেই তাদের এই ধরণের দলবদল বলে মনে করে বিজেপি-কংগ্রেস । বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগের জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তারা।

দিলীপ ঘোষ বলেন, তারা দলের কোন নেতা ছিলেন না। এসেছিলেন টিকিট পেয়ে এমএলএ হয়েছেন। বিধায়ক হিসেবে দলত্যাগ যে আইন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে স্পিকারের কাছে আবেদন করবো।

এদিকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে না আসতে পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পড়তে হবে বড়-সড় সাংবিধানিক সংকটে। ছাড়তে হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর পদ। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ভোটের পর থেকে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.