ন্যাশনাল ও খাস্তগীর স্কুল পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

পাঠদানে প্রস্তুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো

0

সিটি নিউজ : বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইংরেজি রোববার থেকে খুলছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। স্কুল-কলেজগুলোকে পাঠদানের জন্য উপযোগী করে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইংরেজি শনিবার সকাল পৌণে ১০টা ও সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ডিসি হিল সংলগ্ন সরকারী ন্যাশনাল প্রাইমারী স্কুল ও জামালখানস্থ ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ওমর ফারুক, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পীষুষ দত্ত, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার এন.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, কোতোয়ালী থানা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হারুন-উর রশীদ, সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (কোতোয়ালী) লিপি গোপ, ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার, সরকারী ন্যাশনাল প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ বদরুন্নেছা ও শিক্ষকবৃন্দ।

স্কুল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত দেড় বছর বন্ধ ছিল। যেহেতু সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে সে জন্য ১২ সেপ্টেম্বর  রোববার থেকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করবে। তারই আলোকে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দিয়ে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ও আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার পাশাপাশি স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বাথরুম পরিস্কারসহ শ্রেণি কক্ষগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্কুলের সামনে ওয়াশ বøক স্থাপন করা হয়েছে যাতে করে শিক্ষার্থীরা সাবান দিয়ে হাত ধুইয়ে স্যানিটাইজ করে স্কুলে বা শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করতে পারে। স্কুলের বেঞ্চগুলোতে জীবানুনাশক ছিটানো হয়েছে। প্রত্যেকে মাস্ক পরিধান করবে এবং শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসবে। যেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে আমরা আশা করছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলে শিক্ষার্থী ও সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রমটি অব্যাহত রাখতে পারবো। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মহানগর পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে পাঠদানের উপযোগী হিসেবে মত প্রকাশ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় সুনির্দিষ্টভাবে পরিপত্র জারী করেছে। সেই পরিপত্র অনুযায়ী মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করবে। কোভিড মহামারী সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে আমরা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবো। স্কুলের সামনে জঠলা না করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে স্কুলগুলোর শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা স্কুলে এসে আনুষাঙ্গিক কাজগুলো করেছে। স্কুল খোলার ঘোষনা পাওয়ার পর মহানগরের ২১৫টি সহ জেলার মোট ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হয়েছে।

সিটি নিউজ

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.