স্পোর্টস ডেস্ক : শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে পিএসজিকে এবার পথ দেখালেন নেইমার। শেষ সময়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন মাউরো ইকার্দি।
এ ম্যাচে দলের নতুন তারকা লিওনেল মেসির পারফরম্যান্সও ছিল উল্লেখযোগ্য। কয়েকবার গোলের আশা জাগিয়েছিলেন। যদিও গোলের দেখা পাননি তিনি। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
ঘরের মাঠে রোববার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে লিঁওকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।
পিএসজির মাঠে প্রথম ম্যাচে শুরুতেই গোলের আশা জাগিয়েছিলেন মেসি।
ষষ্ঠ মিনিটে মেসির শট ব্লক করে দলকে বাঁচান জেসন ডেনায়ের। এর দুই মিনিট পর আনহেল দি মারিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন লিঁও গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেস।
৩২তম মিনিটে নেইমারের চমৎকার ব্যাক হিলে পাওয়া বলে শট নেন মেসি। তবে ফের লিঁওর গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে বল জালে জড়ায়নি।
এর পাঁচ মিনিট পর ভাগ্য ফের হাতশ করে মেসিকে। ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক নেন মেসি।
বল ঠেকানোর অসম্ভব ভেবে হাল ছেড়ে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক। কিন্তু ক্রসবারে লেগে বল চলে যায় বাইরে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মেসির চমৎকার পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমবাপ্পে।
গোলশূন্যাবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় লিঁও। প্রতি-আক্রমণে টোকো একাম্বির কাছ থেকে বল পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লুকাস পাকেতা। ইউরোকাপের সেরা গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা জাল সুরক্ষিত রাখতে পারেননি।
৬৬তম মিনিটে ডি-বক্সে নেইমারকে ফাউল করেন মালো গুস্তো। রেফারির বাঁশিতে সফল স্পটকিকে দলকে সমতায় ফেরান নেইমার।
৭৫তম মিনিটে মেসিকে তুলে নেন কোচ পচেত্তিনো। ৮২তম মিনিটে ডি মারিয়াকে তুলে নিয়ে ইকার্দিকে নামান কোচ।
আস্থার দারুণ প্রতিদান দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ৯৪তম মিনিটে এমবাপ্পের দারুণ ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি।
টানা ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান মজবুত করেছে পিএসজি। আসরে দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পাওয়া লিঁওর পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৮।
সিটি নিউজ