ফটিকছড়িতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

0

জাহাঙ্গীর উদ্দিন মাহমুদ  :  ফটিকছড়ি উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সালিশী বৈঠকে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম খোরশেদুল আলম (৩১) ।
গত ৮ নভেম্বর (রোববার) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি জায়গা-জমি এবং কাঠের ব্যবসা করতেন। এর আগে শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের সুতার ঠিলা নামক এলাকায় সালিশী বৈঠকে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চমেকে ভর্তি হন।
প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, গত শনিবার সকালে খোরশেদের দখলীয় একটি মাছের ঘের থেকে মাছ ধরে স্থানীয় মুহাম্মদ মিজান (১৪) নামের এক কিশোর। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবকের সাথে খোরশেদের বাগ-বিতন্ডা হয়। ওই দিন বিকেলে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন একটি সমঝোতা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে দুই পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে খোরশেদ(৩১), রহমত উল¬াহ (২৩) ও মুহাম্মদ পারভেজ (২১) আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথম দুইজনকে চমেকে পাঠিয়ে দেন। সেখানে খোরশেদ মারা যান।
বৈঠকে উপস্থিত সমাজপতি ফয়েজ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষের লোকজনের সাক্ষ্য প্রমাণ নিচ্ছিলাম। এসময় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে তারা লাঠিসোটা এবং দা-বটি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।’
নিহত খোরশেদের স্ত্রী মুছাম্মৎ নুর নাহার বেগম বলেন, ‘পার্শ্ববতী বাড়ির শফিউল আজম, জাহাঙ্গীর, হেলাল, মানিক, জাহেদ, আইয়ুব, পারভেজ ও আলী আকবর মিলে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে তিনি প্রচন্ড জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।’
গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোরশেদের স্ত্রীর আহাজারিতে এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া তাদের এক বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। খোরশেদের বাবা মুহাম্মদ ইলিয়াছ পুত্র হারিয়ে নির্বাক। যাকে পাচ্ছেন, তাকে জড়িয়ে ধরে অঝর ধারায় কাঁদছেন।
ঘটনায় খোরশেদের স্ত্রী বাদী হয়ে আট জনকে আসামী করে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
ফটিকছড়ি থানার এস.আই শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন ‘মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু দুস্কৃতিকারী খোরশেদের উপর হামলা চালায়। এতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.