বিশ্ব ইজতেমায় ২৮টি স্পেশাল ট্রেন

0

সিটিনিউজবিডি :: এবছর বিশ্ব ইজতেমার সময় ২৮টি স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। পাশাপাশি ইজতেমার মুসুল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এবার আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি হবে ইজতেমার প্রথম পর্যায়। এরপর দ্বিতীয় পর্ব ১৫ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি। দুই দফাতেই একই পরিমাণ বিশেষ ট্রেন চলবে।

রেল ভবনে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, ৮ জানুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা পথে দুটি ‘জুম্মা স্পেশাল’ ট্রেন চলবে। “এর বাইরে আখেরি মোনাজাতের আগের দুই দিন জামালপুর ও আখাউড়া থেকেও দুটি করে ট্রেন চলবে। আখেরি মোনাজাতের আগের দিন লাকসাম-টঙ্গী রুটে একটি ট্রেন চলবে।”

আর আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী সাতটি, টঙ্গী-ঢাকা সাতটি, টঙ্গী-লাকসাম একটি, টঙ্গী-আখাউড়া দুইটি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ রুটে চারটি বিশেষ ট্রেন চলবে বলে জানান তিনি।

ইজতেমার সময় ৩৮টি মেইল এক্সপ্রেস কমিউটার ও লোকাল ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে বিরতি দেবে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, “আখেরি মোনাজাতের আগের পাঁচ দিন ঢাকা অভিমুখী ২৯টি, আখেরি মোনাজাতের দিন ৫৮টি এবং আখেরি মোনাজাতের পরদিন ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে দুই মিনিট করে থামবে।”

মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১০ ও ১৭ জানুয়ারি মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, ১১ ও ১৮ জানুয়ারি তিস্তা এক্সপ্রেস এবং ৮ ও ১৫ জানুয়ারি সূবর্ণ এক্সপ্রেস সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও চলবে বলে জানান মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশেষ ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে সুর্বণ, তিস্তা, কালনী, মহুয়া ও তুরাগ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টঙ্গী, ঢাকা-জয়দেবপুর ও ঢাকা-কুমিল্লা কমিউটার ট্রেন আখেরি মোনাজাতের দিন বন্ধ থাকবে।

এছাড়া ইজতেমা উপলক্ষে সব আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে ২০টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।

ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সব রেল স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “টঙ্গী রেল স্টেশনে একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম সব সময় চালু থাকবে। এছাড়া অতিরিক্ত/সহকারী পুলিশ সুপার এবং একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের অস্থায়ী অফিস থাকবে। টঙ্গী স্টেশনে অস্থায়ী ডিসপ্লেসারিও স্থাপন করা হবে।”

মন্ত্রী জানান, ইজতেমার সময় ঢাকা স্টেশনে ৭০টি এবং টঙ্গী স্টেশনে ৫০টি কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি করা হবে।

মুসুল্লিদের জন্য টঙ্গী স্টেশনে একটি অস্থায়ী নামাজঘর, একটি বিশ্রামাগার, ৪০টি অজুখানা ও ২৫টি অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

ইজতেমার সময় মুসুল্লীরা যেন ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ না করেন, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে রেলের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.