শ্যামল রুদ্র, (খাগড়াছড়ি):খাগড়াছড়ির রামগড় শ্রীশ্রী দক্ষিনেশ্বরী কালি বাড়িতে সনাতন স¤প্রদায়ের সাং বাৎসরিক সর্বজনীন ষোড়শপ্রহর শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম নাম সংকীর্তন ও মহোৎসব গত বুধবার দিবাগত ভোর ৬টায় মহানাম সংকীর্তনের পূর্ণাহুতি ও নগর কীর্তনের মধ্যদিয়ে চারদিন ব্যাপি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পাঁচটি কীর্তনীয়া দল “হরে কৃষ্ণ হরে রাম” নামসুধা পরিবেশন করেন। এর আগে গত ৮ ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যা ৬টায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানাম-মহাযজ্ঞের সূচনা হয়। ওই সময় রাত ৮টায় স্থাপন করা হয় মঙ্গল ঘট। ৯ ফেব্র“য়ারী মহানাম সংকীর্তনের শুভারম্ভ ও অহোরাত্র মহানাম সংকীর্তন ও রাতে মহাপ্রসাদ আস্বাদনের পর ১০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মহানাম সংকীর্তন ও মহাপ্রসাদ নিবেদন এবং ১১ ফেব্র“য়ারী ভোর ৬টায় সমাপ্তি ঘটে মহাযজ্ঞানুষ্ঠানের।
সর্বজনীন মহোৎসব উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলা ও পাশের ফটিকছড়ির দূরদুরান্ত থেকে বহু ভক্তবৃন্দের মহামিলন মেলায় পরিনত হয় কালিবাড়ি প্রাঙ্গন। ভক্তবৃন্দের সমাবেশে মুখড়িত হয়ে ওঠে রামগড় শ্রীশ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালিমন্দির । বসে গ্রামবাংলার লোকজ মেলা । প্রচুর দর্শনার্থীর ভীড়ে প্রত্যেকটি মেলা স্টল ছিল লোকে লোকারন্য। আর্ন্তজাতিক কৃষ্ণভাবনাবৃত সংঘের (ইসকন) একটি স্টল ঘিরে পূন্যার্থীবৃন্দের ধর্মীয় নানা উপকরণ কিনতে দেখা যায়।
মহোৎসব চলাকালীন বুধবার খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চেীধুরী, রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফরহাদ, রামগড় পৌরসভার মেয়র কাজী শাহজাহান রিপন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মংসুইপ্র“ চেীধুরী অপু, সহকারী পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল))মো. কাজী হুমায়ুন কবীর, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন এবং রাজনৈতিক ও সমাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মহোৎসব প্রাঙ্গণে এসে পূণার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বরী মন্দির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তাপস ত্রিপরা ও সাধারন সম্পাদক সজিব সিংহ বিশু শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশ গ্রহণে মাঙ্গলিক এই অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন করতে পারায় স্থানীয় প্রশাসন সহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
……..জেএম