আর কিছু দিন পর বাজারে আসবে লিচু ফল

সিটিনিউজবিডি : আর কিছু দিন পর নগরীজুড়ে দোকানপাটে শোভা পাবে থোকা থোকা সুমিষ্ট ফল লিচু।
এর মধ্যে রাজশাহী নগরীসহ আশপাশের এলাকায় লিচু খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
এই থোকা থোকা ফলেই স্বপ্ন বুনছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষকরা। এর মধ্যে নগরীসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাখিদের হাত থেকে বাঁচাতে পাকা ফলগুলো জাল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন লিচু চাষিরা।
তবে বেশ কয়েকবার কালবৈশাখীর তা-বে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লিচু।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এবার রাজশাহীর স্থানীয় যে লিচু যা ফল গবেষণা কেন্দ্রে বারি লিচু-১ নামে পরিচিত, তা খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু বোম্বাই লিচু ও চায়না লিচু খুব একটা ভালো হয়নি।
বেশিরভাগ বাগানে ফুলই আসেনি। ফল গবেষণা কেন্দ্রে ১১০টি লিচু গাছ আছে। দেশি লিচুর গাছগুলোতে ভালো ফল এসেছে। কিন্তু বোম্বাই ও চায়না লিচু গাছে খুব একটা ভালো ফল আসেনি।
ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দীন বলেন, মাঝে মাঝে এরকম হয়। এটা লিচুর বৈশিষ্ট্য। কখনো কোনো গাছে ফল ভালো আসে, কখনো আসে না।
আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনো সমস্যা না। বরঞ্চ এবারের আবহাওয়া আম ও লিচুর জন্য খুব ভালো। ঝড়ে শুধু কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জাতীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় ১০০টির বেশি লিচু গাছ আছে। এর মধ্যে প্রায় সব গাছে লিচু ধরেছে। উদ্যানের কর্মীদের দেখা গেছে, লিচু গাছগুলো জাল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। তারা জানান, প্রধানত পাখি থেকে বাঁচানোর জন্যই জাল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন।
নগরীর ছোটবনগ্রাম, খড়খড়ি বাইপাস, হড়গ্রাম, রায়পাড়াসহ আশপাশের এলাকায় লিচুচাষ করা হয়েছে। এ ছাড়া চারঘাটের চরাঞ্চলে ও নাটোরের লালপুরে ভালো লিচুর চাষ হয়।
ছোট বনগ্রাম এলাকার লিচু চাষি রইস উদ্দিন বলেন, আমার ৫ বিঘা জমিতে লিচু আছে। ভালো ফলন হয়েছে।
ঝড়ে অবশ্য কিছু গাছের ডাল ভেঙে গেছে। কয়েকটা উপড়ে গেছে। এখন এই গাছগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন এই চাষি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হযরত আলী বলেন, এখন পর্যন্ত লিচুর অবস্থা ভালো। লিচু পাকার সময় যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে ফলন ভালো হবে। তিনি আশা করছেন চলতি মৌসুমে লিচু চাষিরা লাভবান হবেন।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.