কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ট্যাবলেটের মতো যন্ত্রপাতি এখন আমাদের প্রতিদিনেরই সঙ্গী

0

কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ট্যাবলেটের মতো যন্ত্রপাতি এখন আমাদের প্রতিদিনেরই সঙ্গী। এগুলোতে থাকে কাজের নানা সফটওয়্যার, দৈনন্দিন কাজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইত্যাদি। এসবের নিরাপত্তা এখন বেশ বড় সমস্যা। এসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজনেই যুক্ত হয় নানা নেটওয়ার্কে। ফাইল আদান-প্রদান হয়ে থাকে পেনড্রাইভ, বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক, সিডি-ডিভিডির মাধ্যমে। ফলে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম—ভাইরাস, ওয়ার্ম, ক্ষতিকর ই-মেইল নিজের যন্ত্রটিতে আক্রমণ করতে পারে যেকোনো সময়ই। তাই তথ্যপ্রযুক্তির যন্ত্রগুলো ব্যবহারের সময় ভার্চুয়াল নিরাপত্তা জরুরি। প্রাথমিকভাবে সচেতন থাকলে নিজের কম্পিউটার, স্মার্টফোন থাকবে নিরাপদ। তেমনই কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন সাইম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন এবং রায়ানস আইটি লিমিটেডের হার্ডওয়্যার প্রকৌশলী মেহেদি হাসান।
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের নিরাপত্তা

  • ইন্টারনেট সিকিউরিটিসহ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত হালনাগাদ করুন।
  • ইন্টারনেট থেকে অপ্রয়োজনীয় ডেটা বা সফটওয়্যার না নামানোই ভালো।
  • ইন্টারনেট থেকে ডেটা নামালে তা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করে নিন।
  • ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে উইন্ডোজের ফায়ারওয়াল খোলা রাখা উচিত।
  • অপরিচিত কোনো ই-মেইল ঠিকানা থেকে ফাইল এলে সেটি না খোলাই ভালো।
  • অপরিচিত কোনো ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি না করা।
  • মোবাইল ফোনের মতো ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য ট্র্যাকিং সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এ কাজে চাইলে বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারেন ‘দ্য ল্যাপটপ লক’। বাজারে আছে যেসব নিরাপত্তা সফটওয়্যার

নরটন: কম্পিউটারের ফাইলের নিরাপত্তার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ওয়েবসাইটগুলো নিরাপদ কি না, তা দেখিয়ে দেবে নরটন অ্যান্টিভাইরাস। মুছে ফেলা কঠিন—এমন ভাইরাস ডিলিট করতেও সক্ষম নরটন।
ক্যাস্পারস্কি: ক্যাস্পারস্কি অ্যান্টিভাইরাসের কিছু পণ্য একই সঙ্গে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও নোটবুক কম্পিউটারের সুরক্ষা দেয়।
প্যান্ডা: জরুরি সময়ে সেফ মুডে কম্পিউটার চালিয়ে ভাইরাস মুছে ফেলতে পারে প্যান্ডা অ্যান্টিভাইরাস।
এভিরা: কম মেমোরি খরচ করায় দ্রুত কম্পিউটার চালু করে এভিরা অ্যান্টিভাইরাস।
বিটডিফেন্ডার: আপনার কম্পিউটারে আপনার সন্তানেরা কী করছে কিংবা তারা কী কী করতে পারবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় বিটডিফেন্ডার অ্যান্টিভাইরাসের সাহায্যে।
ই-স্ক্যান: এতে রয়েছে ক্লাউড নিরাপত্তা সুবিধা, ফায়ারওয়াল, সিস্টেম পারফরম্যান্স, ওয়েব প্রটেকশন, ইউএসবি ও এসডি কার্ড প্রটেকশন ইত্যাদি সুবিধা।
বাজারে এই অ্যান্টিভাইরাসগুলো পাওয়া যাবে ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায়।
বিনা মূল্যে নিরাপত্তা
নরটন, কাস্পারস্কি, প্যান্ডা, এভিরা, বিটডিফেন্ডারসহ প্রায় সব অ্যান্টিভাইরাস ১ থেকে ৩ মাস বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।
স্মার্টফোনের নিরাপত্তা
• পিন, পাসওয়ার্ড অথবা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করে নির্দিষ্ট যন্ত্রটি লক করে থাকুন।
• সব সময় নিরাপদ সাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) নামিয়ে ব্যবহার করুন। এ কাজে স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতা অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করুন। যেটা শুরু থেকেই ফোনে থাকে।
• অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করুন।
• কাজ শেষ হলে ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন।
• ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করুন।
• ইনস্টল করা অ্যাপগুলো আপনার ফোনের কী কী ব্যবহারের অনুমতি (পারমিশন) চাইছে, তা বুঝে নির্দেশনা দিন।
• ই-মেইল বা লিখিত মেসেজে আসা লিংকগুলো সাবধানতার সঙ্গে খুলুন।
• স্মার্টফোনের সব ডেটার ব্যাকআপ রাখুন।
• স্মার্টফোনের মাধ্যমে কোনো লেনদেন করলে সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং কাজ শেষে লগ-আউট করুন।
• রিমোট ক্লিন-আপ ফিচার ব্যবহার করুন, এটির মাধ্যমে ফোন হারিয়ে গেলেও ফোনের সব ডেটা মুছে ফেলা যাবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.