সিটিনিউজবিডি : বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে হেরে একটু যে মন খারাপ করেনি তা নয়। কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ তো সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘খেলোয়াড়দের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে আশি ভাগ সন্তুষ্ট, পুরোটা নই।’ তারপর একে একে কাটাছেঁড়া করলেন সিঙ্গাপুরের কাছে কেন ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েও হারতে হলো। প্রথমত গরমে খেলোয়াড়দের ক্লান্তিকে দেখালেন বড় করে।
দুদলের খেলোয়াড়েরা ম্যাচের পর সম্প্রীতির ঝান্ডা ওড়ালেন। একে অন্যের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। প্রীতি ম্যাচে ‘প্রীতি’ই তো মানায়!
এ প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ দুটির সময় রাখতে বললেন পাঁচটা বা ছয়টায়। ১১ ও ১৬ জুন ওই ম্যাচ দুটির শুরুর সময় বাফুফে আগেই ঠিক করে রেখেছে, বেলা তিনটা। কড়া রোদে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা ভালো খেলতে পারবেন না, ক্রুইফ যেন দিব্য চোখেই দেখে ফেললেন কালকের ম্যাচের অভিজ্ঞতায়। নিজেই বললেন, ‘নাসিরকে বদলি হিসেবে নামানোর পর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সে হাঁফাচ্ছে। গরমের কারণে অনেকেরই এই অবস্থা হয়েছে। অন্যদিকে এনামুল পুরো ৯০ মিনিটই সমানতালে খেলল। সবাইকে একই ছন্দে খেলতে হবে।’
দ্বিতীয় গোলে গোলরক্ষকের কিছু ভুল দেখছেন ক্রুইফ। রক্ষণভাগও ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেনি। প্রতিপক্ষকে সুযোগ করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আরও কিছু কাজ করার জায়গা দেখছেন কোচ।
এমিলি বল জালে জড়ালেও বাংলাদেশের রেফারি গোল না দেওয়ায় ক্রুইফ একটু ক্ষুব্ধই, ‘কেন তিনি এটা গোল দিলেন না আমার বোধগম্য নয়। আমি বাংলাদেশের রেফারি হলে অবশ্যই ওটা গোল দিতাম।’ এই গোল নিয়ে অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও সুর মেলালেন কোচের সঙ্গে, ‘গোলটা দিলে ২-০ হয়ে যায় এবং আমরা ম্যাচটা জিতেও যেতে পারতাম। গোয়ায় ভারতের রেফারি আমাদের গোল বাতিল করেছেন। ঘরের মাঠেও যদি রেফারি এমন গোল না দেন, তাহলে কীভাবে হবে!’
সিঙ্গাপুরের কোচ বার্নড স্টেনজের চোখে, দুদলের খেলারই আরও উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল, জুয়েল রানা, জামাল ভূঁইয়ার প্রশংসা করলেন আলাদা করে। তবে বলতে ভুললেন না, ‘আমরা ভালো খেলেই জিতেছি। বাংলাদেশ দলের রক্ষণের ভুলে নয়, আমরাই গোল দুটি আদায় করেছি।