ডাচ বাংলা চেম্বারের সভাপতিকে খুঁজছে ডিবি

ঢাকা : ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, ডাচ বাংলা চেম্বারের নিখোঁজ সভাপতি মো. হাসান খালেদকে খুঁজছে ডিবি। ধানমন্ডি থানাও তার ব্যাপারে করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত শুরু করছে। তবে তার ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি বলেও জানান তিনি। আজ (২৫ জুলাই) সোমবার বিকেলে ডিএমপির নিজ দপ্তরে জিডি বই বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোন ব্যক্তি যেন থানায় এসে হয়নারীর শিকার না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। কোন ব্যক্তির কাছ থেকে জিডি করার জন্য টাকা পয়সা নেয়া যাবেনা। এখন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিটি থানায় জিডি করতে এসে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে দুটি করে জিডির ফরম দেয়া হবে। ওই ফরমের সঙ্গে কলমও থানা থেকে সরবরাহ করতে হবে। তবে কোন ব্যক্তি যদি নিজে থেকে সাদা কাগজে বা কম্পিউটারে টাইপকৃত জিডি লিখে নিয়ে আসেন তাহলে তাও জিডি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

আছাদুজ্জামান মিয়া প্রত্যেক থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) নির্দেশ দিয়ে বলেন, ডিএমপির প্রতিটি থানায় ৩৫ থেকে ৪০টি দুই পাতার জিডির বই ডিএমপি সরবরাহ করবে। ওই বই শেষ হয়ে গেলে আবার রিকুইজিশন দিয়ে বই নিতে পারবেন।

থানায় জিডির পরে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ তার দায়িত্বে গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে থানায় জিডি করার পরে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার অফিসে সাইবার ক্রাইম দমনের একটি বড় টিম রয়েছে। আপনারা থানায় জিডি করার পরে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

জিডির বই বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মো. শাহাবউদ্দিন, (ডিবি ও প্রসিকিউশন) দিদার আহমেদ, (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায়, (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি) আবদুল বাতেন, সহ সকল বিভাগের উপকমিশনার, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শক তদন্ত সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.