চট্টগ্রামে জাল কোট ফি তৈরির মুল নায়ক নবিউলের কর্ম কাহিনি

0

গোলাম সরওয়ার  :  চট্টগ্রাম মহানগরীর আদালত ভবন থেকে গত সপ্তাহে আটক করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকার জাল কোট ফি সহ দুইজনকে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতি সহ-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট প্রতীক কুমার দেব বাদী হয়ে দুদক আইনের শিডিউলভুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। দুই অভিযুক্তকে চট্টগ্রাম সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মো: রহমত আলীর আদালতে চালান দেয় পুলিশ।

আদালত অভিযুক্তদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন এবং মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছেন সাতকানিয়ার মরহুম নজু মিয়ার ছেলে আইনজীবি ক্লাক নিয়াজুর রহমান (৫৫) ও নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা হামিদ জমিদারের বাড়ির মৃত আবদুর রহমানের ছেলে ভেন্ডার নবিউল আলম (৬০) । এদিকে এ চ্যাঞ্চল্যকর মামলার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবিউল আলম দীর্ঘদিন যাবত এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সে জাল কোর্ট ফি তৈরীর মুল হোতা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের হোতা।

এই নবিউল নিজ এলাকা মোহরাতে জায়গা-সম্পত্তির বিরোধে জনৈক মনির উদ্দিন (৪৫) পিতা-বাদশা মিয়া, মোহরা, হামিদ জমিদার বাড়ি, ৫নং ওয়ার্ড, চান্দগাঁও কে সন্ত্রাসী ষ্টাইলে আক্রমন ও আহত করে নবিউল আলম ও তার সহযোগী ইলিয়াছ (২৭) ও দিদার আলম (৬২) বর্তমানে এ ব্যাপারে নবিউলের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা হয়েছে। চান্দগাঁও থানা মামলা নং ০৫/১৩০, তারিখ ৪/৫/২০১৫। এই মামলায় নবিউল জামিনে থাকলেও ইলিয়াছ কারাগারে।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, প্রবাসী সাংবাদিক ও আজকের সুর্যোদয়ের সৌদি আরব প্রতিনিধি মোর্শেদ রানার বড় ভাই মো: মনির উদ্দিন (৪৫) কে গত ২৭/৪/২০১৫ ইং তারিখে বিরোধীয় সম্পত্তি সার্ভেয়ার করার সময় সার্ভেয়ারকে বক্তব্য উপস্থাপন করার সময় নবিউল আলম ও মো: ইলিয়াছ ছুরি নিয়ে মনির উদ্দিনের পিঠের উপর পোছ মেরে ঠোটের উপরের অংশ মুখ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এমনকি কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় মনিরকে চকেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, এক সময়ে মুদি দোকানী নবিউল আবুধাবীতে ছিল। সেখানে জালিয়াতির ঘটনার সৃষ্টি করায় তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মামলাবাজ নবিউল এলাকায় ২০ বছর যাবত সমাজচ্যুত।

চিহ্নিত জালিয়াতকারি হিসেবে পরিচিত নবিউল নিজের মায়েরও মাথা ফাঁটিয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। নিজ এলাকায় জায়গা সম্পত্তির বিরোধে মিথ্যা মামলা দায়ের সহ মানুষকে নানাভাবে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী জানায়, শ্রেষ্ট জালিয়াত হিসেবে এলাকায় ও নিজের স্বজনদের কাছে কুখ্যাতি রয়েছে তার। আদালত সুত্রে জানা গেছে, নবিউল জাল কোট ফি চক্রের মুল হোতা। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জাল কোট ফি তৈরির উৎসমুখের সন্ধান পাওয়া যাবে।

দুদকের কর্মকর্তা শামসুর রহমান জানান এই মামলার তদন্ত চলছে রিপোর্ট সহসা দিয়ে দিব ইনশল্লাহ  ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.