নিহত নারী জঙ্গির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

0

সিটিনিউজবিডি : আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় নিহত নারীর লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, লাশের পেট ও পেটের নিচের অংশ বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে এবং বিস্ফোরণের কারণেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি জানান, ওই নারীর মরদেহ থেকে ১০টি স্প্লিন্টার ও বিস্ফোরিত বোমার অক্ষত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বোমার আঘাতেই যে তার মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তবে ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে আমরা ডিএনএ টেস্ট করবো। লাশ থেকে নমুনা মাহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

বোমার ধরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহেল মাহমুদ জানান, আমাদের ধারণা এগুলো হাতে বানানো বোমা ছিল। এর আগে পরিচয় ‌‍‘অজ্ঞাত’ ও বয়স ৩৫ বছর উল্লেখ করে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। রোববার বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ওই নারীর লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণখান থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে ওসি জানান, নিহত নারী জঙ্গি সুমনের স্ত্রী, তার নাম শাকিরা। দক্ষিণখান থানার এসআই নান্নু খান নিহত নারীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এরপরই তাকে ঢামেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানোর এক পর্যায়ে হঠাৎ সুমনের স্ত্রী শাকিরা শিশু সন্তানসহ বেরিয়ে আসার কথা জানায়। এ সময় তার গায়ে সুইসাইডাল ভেস্ট বাঁধা ছিল। ভেস্টের মধ্যে তাজা গ্রেনেডও রক্ষিত ছিল। পুলিশ তাকে ওই ভেস্ট খুলে আসার জন্য বলে। কিন্তু শাকিরা ভেতরে গিয়ে আবার বেরিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সুইসাইডাল ভেস্টের সুইচ টিপ দিয়ে সে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সঙ্গে থাকা শিশুটিও গুরুতর আহত হয়। পুলিশ দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.