সীতাকুণ্ডের ইকোপার্কে যুবতী ধর্ষণ

0

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ পাত্র পক্ষকে দেখানোর কথা বলে সীতাকুন্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে এনে মুক্তা (ছদ্দনাম) ২২ নামের এক যুবতীকে ধর্ষণ করেছেন বিয়ের ঘটক। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার পৌরসভা ফকিরহাটস্থ ইকোপার্কের পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিত যুবতী উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বগাচতর এলাকার ইসমাইল হোসেনের কন্যা।

জানা যায়,উপজেলার দক্ষিণ বগাচতর এলাকার (ছদ্দনাম) মুক্তাকে বিয়ের পাত্র দেখানোর নাম করে বিয়ের উকিল ফকিরহাটস্থ বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে নিয়ে যায়। পার্কের ভেতরের গভীর জঙ্গলে নিয়ে যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বিয়ের উকিল। ধর্ষণের এক পর্যায়ে যুবতীর আর্ত-চিৎকারে ধর্ষক পালিয়ে যায়। এ সময় ধর্ষিতা যুবতী ধর্ষকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়ে নিজেই সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হন। কিন্তু সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ধর্ষিতা যুবতীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরন করেন। পার্কের ভেতরে চাঞ্চল্যকর এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এ ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান পার্ক ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাজেদা বলেন,“দুপুরের দিকে মেয়েটি হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। এরপর পুলিশ এসে মেডিকেল রিপোটের জন্য যুবতী মেয়েটিকে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করেন।”

এ বিষয়ে ইকোপার্কের ইজারাদার সাহাব উদ্দিনের সাথে কথা বললে উনি বলেন,“আসলে বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে শুনে আমি পার্কে ফোন করেছিলাম,তারা বলেছে এ ধরনের কোন বিষয় ইকোপার্ক ষ্টাপরা অবগত নয়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড থানার উপ-পরিদর্শক মো.সিরাজ বলেন,“আমি হাসপাতাল গিয়ে যুবতী মেয়েটির সাথে কথা বলে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা যুবতীর অভিভাবকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.