হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত

0

নিজস্ব সংবাদদাতা,চন্দনাইশ::হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বরকল এস জেড উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মার্কেট নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় আবুল কালাম চৌধুরীর দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মার্কেট নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞার আাদেশ দেন। সে সাথে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

গতকাল ২০ জানুয়ারী থেকে সারাদিন কাজ করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বে কর্তৃপক্ষ মার্কেট নির্মাণের জন্য পুরাতন ওয়াল ভেঙ্গে নতুন ওয়াল নির্মাণ করছেন।

গত ২০ জানুয়ারি রাত্রী বেলা বিদ্যুতের বাল্ব জ্বালিয়ে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারীর ভিতরে নির্মাণ কাজ ও গাছ কর্তন করতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহাদত হোসেন চৌধুরী জসীম বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের কোন আদেশ পাননি। আদেশ পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ বন্ধ রাখবেন। প্রধান শিক্ষক জাফর আহমদ বলেছেন, গত ২০ জানুয়ারি স্কুল বন্ধ থাকার কারণে তিনি বিদ্যালয়ে যাননি। তাই তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তাছাড়া হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোন আদেশ পাননি বলে তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেছেন মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি তিনি পাননি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্মান কাজ করছেন কিনা সে ব্যাপারে তাঁকে কেউ অভিযোগ দেননি।

উল্লেখ্য যে, বরকল এস জেড উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংরক্ষণে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে কেশুয়ার আবুল কালাম চৌধুরী বাদী হয়ে বাণিজ্য ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করার লক্ষ্যে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট আদেশে মার্কেট নির্মাণের জন্য ভেঙ্গে ফেলা স্কুলের সীমানা প্রাচীর অবিলম্বে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। সে সাথে বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের ভেতরে থাকা খেলার মাঠের আকৃতি-প্রকৃতি, পরিবর্তন না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের ভেতরে খেলার মাঠে বেআইনীভাবে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ রোধে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী হবে না,

এ ব্যর্থতা সংবিধানের লঙ্ঘন বলে ঘোষনা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিকল্পনা সচিব, শিক্ষা সচিব, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ সভাপতি সহ বিবাদীদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব কিছু বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মার্কেট নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। সে সাথে বিদ্যালয়ের সম্মুখে অবস্থিত বেশকিছু গাছ কর্তন করে মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে তারা জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.