ওমর ফারুক, বান্দরবান প্রতিনিধি::বান্দরবানে রিজার্ভের মূল্যবান কাঠ পাচার কালে চারটি ট্রাকসহ প্রায় এক হাজার ঘনফুট কাঠ জব্দ করেছে ৩৫ রুমা আনসার ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক (সি.ও) মু. নাজমুল আশফাক। সেগুন, গামার ও কড়ই প্রজাতির গোল ও রদ্দা কাঠগুলো বান্দরবান ডিভিশনের বেতছড়া রেঞ্জে হস্তানান্তর করা হয়। ১৪ মার্চ ওয়াই জংশনে এ কাঠ গুলো আটক করা হয়।
গাড়ীগুলো হল চট্টগ্রাম ন-৩৬৮২, লট- ৬২, লট- ৬৩ এবং লট- ৪১। বান্দরবান-থানচি সড়কে তিন টনের অধিক ভারীযান চলাচলে ১৯ ই.সি.বি’র নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জব্দকৃত প্রতিটি গাড়ীর ধারণ ক্ষমতা পাঁচ টনের অধিক।
রুমা ৩৫ আনসার ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক (কমান্ডিং অফিসার) মু. নাজমুল আশফাক জানান, একই জোত মালিকের (ক্ষমতা বলে) ১৭টি কাঠ বোঝাই ট্রাক দেখে তাদের গতি বিধি সন্দেহ জনক মনে হলে টিপিও (পরিবহনের অনুমতি) দেখাতে বলি, ১৩টি গাড়ীর টিপিও ঠিক থাকায় তা ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাকী চারটি কাঠ বোঝাই গাড়ীর কোন কাগজপত্র না থাকায় কাঠের মালিক হাজী আহমদ সৈয়দের মুছলেখা নিয়ে তা জব্দ করার জন্য বন বিভাগের কাছে হস্তানান্তর করি।
কাঠ ও চারটি গাড়ী বেতছড়া রেঞ্জের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান। তিনি আরো জানান (শনি বারে), তিনটি ট্রাকের কাঠ মরিমাপ করা হয়েছে, একটি মাপার কাজ চলছে, কাঠের মালিক পাওয়া যায় নি। গাড়ীগুলো জব্দ করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী হাজী আহমদ সৈয়দ’র সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন বক্তব্য দেন নি।
বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী কামাল জানান, এখনো পর্যন্ত (শনিবার সন্ধ্যা) কাঠ ও ট্রাকের কোন মালিক পাওয়া যায় নি। কাঠের মালিক পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও মামলা দেয়া হবে। কাঠের গাঁয়ে ৮৮/২৩৭ মালিকানা হেমার কার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।