সিনেমায় ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবেনা: মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::কোনো সিনেমায় অশ্লীল বা অরুচিকর কোনো ছবি দেখানো যাবে না। এমনকি ধর্ষণের কোনো দৃশ্যও প্রদর্শন করা যাবে না। দেখানো যাবে না অপরাধের নতুন কৌশল। এমন বিধান রেখেই জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এই নীতিমালা অনুসারে, চলচ্চিত্রে সরাসরি ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না। অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা পরিহার করতে হবে।’

বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা গত দুই দশক ধরেই আলোচিত বিষয়। ইদানীং কমে আসলেও চলচ্চিত্রের ভাষা এবং আধেয় কতটা মানসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। অযাচিতভাবে নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ আর ধর্ষণের ঘটনা সামনে নিয়ে আসা হয়। কখনও কখনও এসব চিত্রায়ন হয় একেবারেই নিম্নমানের। এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে শিল্প সমালোচকরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন চলচ্চিত্র নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো চলচ্চিত্রেই রাষ্ট্র ও জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। সমুন্নত রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা; পরিহার করতে হবে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা।’ তিনি বলেন ‘চলচ্চিত্রে সরাসরি কোনো ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না। শিশু বা নারী কিংবা উভয়ের প্রতি সহিংসতা বা বৈষম্যমূলক আচরণ বা হয়বানিমূলক কর্মকাণ্ডকে উদ্ভুদ্ধ করে এমন কোনো ঘটনা ও দৃশ্য চলচ্চিত্রে প্রদর্শন করা যাবে না।’

শফিউল বলেন, ‘কোনো অশোভন উক্তি, আচরণ এবং অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন, যা অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন ও মাত্রা আনতে সহায়ক হতে পারে, এমন দৃশ্য পরিহার করতে হবে।’

সরকার চলচ্চিত্রকে নির্মল বিনোদন হিসেবেই দেখতে চায়। কর্মকর্তারা বলছেন, কখনও কখনও সিনেমায় যেসব আধেয় প্রচার হয়, সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মোবাইল ফোনে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় চলচ্চিত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা হয়, ‘চলচ্চিত্র হোক নির্মল বিনোদন এবং সুস্থ মানসিকতা বিকাশের মাধ্যম।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.