রোহিঙ্গা শিবিরে সক্রিয় আল ইয়াকিন গ্রুপ

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া (কক্সবাজার):: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী ভিত্তিক সশস্ত্র রোহিঙ্গা ক্যাডার বেপরােয়া হয়ে উঠেছে। আল ইয়াকিন গ্রুপ নামের একটি সন্ত্রাসী কাডার চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ সহ ভীতিকর আইনশৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গাসহ আশপাশের এলাকায় বসবাসরত লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

সম্প্রতি ১৫ দিনের ব্যাবধানে উখিয়া থানা পুলিশ ২ রোহিঙ্গার জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জন রোহিঙ্গা ক্যাডারকে আটক করেন। গত ২৯ জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে রোহিঙ্গা বস্তির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন।
উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তি এলাকা ঘুরে বেশ কয়েক জন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরএসও’র বিকল্প আল ইয়াকিন গ্রুপের সশস্ত্র রোহিঙ্গা ক্যাডার ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে গনহারে চাঁদাবাজি করে সন্ত্রস্থ করে আসছে।

কুতুপালং বস্তি ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. নুর বলেন, আল ইয়াকিন গ্রুপের সদস্যদের কথা মত চাঁদা না দিলে তাকে অপহরণ করে মেরে ফেলা হচ্ছে। গত ১৩ জুন রাত ১২টার দিকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে হানা দিয়ে বসতবাড়ির দরজা জানালা ভাংচুর করে আয়ুব মাঝিও মোহাম্মদ সলিমকে অপহরণ করে পরে জবাই করে হত্যা করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহমদ বলেন, আল ইয়াকিন গ্রুপের সদস্য নামধারী কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজির ঘটনায় ক্যাম্পে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যেসব রোহিঙ্গা নেতারা প্রশাসনকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে আসছে তারাই টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, আয়ুব মাঝি হত্যাকান্ডে জড়িত আব্দুল গফুরও হামিদ হোছন নামের দু’জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.