পাহাড় ধসে বিপাকে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা

0

সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি প্রতিনিধি::রাঙামাটি জেলায় জুন মাসে সংগঠিত হওয়া পাহড় ধস দূর্ঘটনায় বিভিন্ন স্থানের পাহাড় ধসে যায়। এর সাথে নষ্ট হয়ে যায় হাজারো ফলের বাগান। আনারসের রাজধানী নামে ক্ষেত নানিয়ারচর উপজেলায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বহু আনারসের পাহাড় ধস হয়েছে। নষ্ট হয়েছে লক্ষ্য টাকার অধিক আনারস। শুধু তাই নয় আম, কাঁঠাল, কলার বাগানও নষ্ট হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটির রাস্তা এখনো পূর্ণরুপে চালু না হওয়ায় এই মৌসুমী ফল যেতে পারছে না রাঙামাটি বাহিরে। পরিবহন সমস্যার জন্য লোকসান গুনতে হচ্ছে এই ফল চাষিদের। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা পরেছে চরম বিপাকে।

নানিয়ারচর আনারস চাষি মঞ্জু চাকমা বলেন, আমার ৫ একর জমিতে আনারস সহ কমলা, আম ও কাঁঠাল চাষ করেছিলাম। কিন্তু এক রাতের মধ্যে আমার সব গাছ শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২ থেকে ৩ একর জায়গা ভেঙ্গে গিয়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে লক্ষ টাকার মৌসুমী ফল। এখন আমি কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, এই পাহাড় ধস আমাকে নিঃস করে দিয়ে গেছে। আমার আর কিছুই রইলো না। এমনই ভাবে কান্নার কন্ঠ জড়িয়ে নিজেদের কষ্টের কথা জানালেন তার স্ত্রী রুপনা চাকমা, সাথে ঐ এলাকার আরো বহু চাষিই জানিয়েছেন পাহাড় ধস নিঃস করে দেওয়া তাদের স্বপ্নের কথা।

কুতুবছড়ি বাজারের ফল ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র চাকমা বলেন, আমাদের এখন ফল ব্যবসা করার মূখ সময়। কিন্তু পাহাড় ধস হওয়ার কারণে আমাদের বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে যে গাছ গুলো পাহাড় ধস থেকে রেহায় পেয়েছে তার ফল আমরা বাজারে পানির দামেও বিক্রয় করতে পারছি না। আনারস জোড়া ২ থেকে ৪ টাকা আর কাঠাঁল ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রয় করতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, রাঙামাটির সাথে চট্টগ্রামসহ অন্য সকল জেলার যোগাযোগ পূর্ণরুপে ঠিক না হওয়ায় এই মৌসুমী ফল বাহিরে নেওয়া যাচ্ছে না, ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহু ফল।
রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্ন্সের সভাপতি বেলায়ত হোসেন বেলাল বলেন, রাঙামাটির এমন পাহাড় ধস আগে কখনো দেখি নি। এই পাহাড় ধস রাঙামাটি বহু চাষিকে নিঃস করে দিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, চাষিরা বর্তমানে বাজারে ফলের ন্যর্য দাম পারছে না। তাছাড়া সড়ক যোগাযোগ এখনো পূর্ণরুপে ঠিক না হওয়ায় এই ফল বাহিরে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে ফল চাষি ও বেপারিদের এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সড়ক যোগাযোগ অতিদ্রুত ঠিক করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাঙামাটির সাথে অন্য জেলা গুলোর সড়ক যোগাযোগ দ্রুত ঠিক করা হলে চাষি সহ অন্য ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.