সিটিনিউজবিডি : বান্দরবানে বিধ্বস্ত সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে গতকাল। আজও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জেলার রুমা-থানছি উপজেলার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে সাড়ে ৪টা থেকে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখা ১৯ ইসিবি বান্দরবানের অন্যতম টুরিস্ট স্পট নীলগিরি-চিম্বুক সড়কের নয়মাইল নামকস্থানে পাহাড় ধসে বিধ্বস্ত সড়কের সংস্কার কাজ জোরেশোরে শুরু করেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকৌশল বিভাগগুলো জানায়, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ সবগুলো রুটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাহাড় ভেঙে সড়ক ধসে দেবে যাওয়ায় বান্দরবানের অন্যতম টুরিস্ট স্পট নীলগিরি-চিম্বুক এবং রুমা-থানছি ২টি উপজেলা সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রুমা-থানছি সড়কে ১৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। এতে উপজেলা ২টিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখা ১৯ ইসিবি উপ-অধিনায়ক মেজর সাদেক মাহমুদ জানান, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সম্পূর্ণভাবে ধসে গেছে প্রায় ৩০০ মিটার সড়ক। সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে নতুন সড়ক তৈরির কাজ গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। তবে সড়কটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে কিছুদিন সময় লাগবে। এদিকে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-কেরানীহাট চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের কয়েকটি সংযোগ সেতুসহ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঢেবে যাওয়া সেতুর ওপরে বেইলি ব্রিজ বসিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের বান্দরবান জেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুল মোস্তফা জানান, বৃষ্টিতে বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের সূয়ালক চেকপোস্ট এলাকায় কয়েকটি সেতু এবং কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেইছা লম্বাঘোনা সড়কসহ প্রধান সড়কের অনেক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।