ফুলকপি পুষ্টিগুণে ভরপুর,খেতেও সুস্বাদু

0

মো.দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ :: কুয়াশা ডাকা ভোর,কনকনে শীতের কুয়াশা উপেক্ষা করে কৃষকেরা ফুলকপি আর বাধাকপি ক্ষেতে ছুটে চলে প্রতিদিন। কাক ডাকা ভোরে কৃষকেরা তাদের ক্ষেত থেকে ফুলকপি,বাধাকপি বোঝাই করে নানা ধরনের টুকরি ও লালশালু কাপড়  পড়িয়ে নিয়ে আসে দোহাজারী রেলষ্টেশন বাজারে।

পূর্বের আকাশে সূর্য উঠার আগেই ফসলের মাঠ থেকে এ সবজি গুলো তুলো এনে দোহাজার রেলওয়ে বাজারে সারিবদ্ধভাবে সাজানো সাদা সাদা ফুলকপি রাখার টুকরি সবার নজর কাড়ে। শীত মৌসুমে চিরচেনা এ দৃশ্য।

প্রতিদিন সকালে এ অঞ্চলটি যেন ফুলকপির রাজ্যে পরিণত হয়। সেখানে আসে চট্টগ্রাম শহর থেকে পাইকারি ক্রেতারা। তারা পছন্দসই ফুলকপি,বাধাকপি ক্রয় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। কাঁধে ভার করে কৃষকেরা ক্ষেত থেকে ফুলকপি সহ বিভিন্ন সবজি আনে বিক্রির জন্য এ বাজারে।

কৃষকদের অভিযোগ পাইকারি সবজি ক্রেতারা সিন্ডিকেট করার  কারণে তারা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে শঙ্খনদীর তীরবর্তী বৈলতলী,বরমা,চাগাচর,দোহাজারী সদর,রায় জোয়ারা,হাতিয়াখোলা,লালুটিয়া,পার্শ্ববর্তী কালিয়াশ,কেওচিয়া,চরতি,আমিলাশসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুলকপি,বাধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে।

ফুলকপি,বাধাকপি ছাড়াও এসব এলাকায় বেগুন,মূলা,গাজরসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির বেচা-কেনা চলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শঙ্খনদীর তীরবর্তী কৃষকেরা শীতকালীন মৌসুমে সবজি উৎপাদন করে ব্যাপক লাভবান হয়। তাছাড়া সারা বছরেই কোন না কোন সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন এ জনপদের মানুষ। সে জন্য দোহাজারীকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবজি ভান্ডার নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এ এলাকার উৎপাদিত সবজি পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তবে দোহাজারী এলাকায় সবজি সংরক্ষণের জন্য কোন রকম হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত সবজি দিনে দিনেই বিক্রিয় করতে হয়। শুধু মাত্র আলুর জন্য হিমাগার থাকায় সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.