দাদন (সুদের) ব্যবসায়ীদের জাঁতাকলে পিষ্ট কক্সবাজার জেলেরা

0

জামাল জাহেদ, কুতুবজোম : কক্সবাজারের ফিশারি ঘাটের চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা আর  দাদন ব্যবসার নিষ্ঠুর লাগামহীন দৌড়।কক্সবাজারের হাজার হাজার জেলেরা কষ্টার্জিত মাছ ফিশারিঘাটে  তোলার আগেই দাদনদাররা হাজির, কোন কথা বলার সুযোগ নেই ট্রলার মালিকের,নিজের ইচ্ছামতো সব ধরনের মাছ কমিশন ধরে বিক্রি করে হাতে ঘোনা টাকা দিয়ে সোজা বাড়িতে।

অসহায় বোট মালিক কিছু করার নেই কারন ষ্টাম নামক সাদা কাগজে বন্দি জেলেরা,চুরি করে গরিবের ঘরে জম্ম নেওয়া জেলেদের কমিশনের ফাদে পেলে মালিকও হাজার প্রতি কমিশন খেয়ে বিভোর,সুদের ভারে গলা পানি ডুব দিতে দিতে জীবনের যাতাকলে অতিষ্ট জেলে পরিবার কক্সবাজারের যেনো দেখার কেহ নেই।

এমন ও দেখা যায় ট্রলার মালিককে খাবার মাছ নিতে গেলে  দাদন ব্যবসায়ীদের জানাতে হয়,এভাবে কেজি প্রতি মণ প্রতি কমিশন খেতে খেতে  জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে সারাবছর  কুতুবজোম ঘটিভাংগার জেলে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করবে-এ ভাবনায় তারা আজ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

কক্সবাজারের ফরিদ জানান তারা মাছ ধরতে সাগরে যায় ঠিকেই  কিন্তু মাছ বিক্রি করে দাদনদার,ফলে ২লাখ টাকার মাছ ১লাখ ৫হাজার ধরে। জানা গেছে, চলতি বছরে শুরু হতে নানা হতেই ডাকাতের ভয়,সাগরে মাছের আকাল, কোন কোন বোট মাছ পেলেও ফিশারিতে দাম পায়না,দাদন টাকার কারনে মাথায় কাঠাল ভাঙগার মতো অবস্থা,জেলেদের মাথার উপর সব কৌশলে ভাগের নাটক,জেলেরা অসহায় তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েন কক্সবসবাজারের জেলেরা,অনেক বোট মালিক মনে করেন, সঙ্কট উত্তরণে তারা ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়ায় স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ হন।

দাদনদাররাও জেলেদের  দুর্বলতা বুঝে চড়া সুদে তাদের কাছে দাদনের অর্থ গুছিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে দাদন গ্রহীতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, দাদন টাকা যতদিন থাকবে ততদিন মণ প্রতি করে কমিশন দাদনদারদের দিতে হচ্ছে। আর টাকা ফেরত দিতে অপারগ হলে সারা জীবনের কষ্টে গড়া বোট দাদনদার নামে বোয়াল মাছের পেটে, এভাবে বর্তমানে জেলার প্রায় ৫০হাজার খুব হিমশিম খাচ্ছেন। সূত্র জানায়, কক্সবাজারের জেলেদের বিশেষ করে কুতুবজোম ঘটিভাংগার জেলেদের চোখে  মুখে হাসি নেই, আছে শুধু হতাশা।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়,গত বছরের তোলনায় এ বছরে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে,নানা খারাপ আবহাওয়ার কারনে সাগরে যেতে পারছেনা জেলেরা, এদিকে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়েও আড়তদার বা দাদনদারেরা প্রতি মণ হাজার হাজার টাকা কমে মাছ কেনাবেচা করাতে  দাম পায়না জেলেরা মাছের। ফলে টাকার মালিক দিন দিন টাকার মালিক হয় আর বোটের মালিক হয় ধীরে ধীরে অসহায় একটা মানুষ,যার স্বামর্থ্য থাকেনা সুদের পাহাড়সম টাকা পরিশোধ করা,শেষে বোট ছেড়ে দিয়ে পথে নামতে দেখা যায় ট্রলার মালিকের।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.