সিটিনিউজ : ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহাসচিব জননেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নাল আবেদীন জুবাইর বলেছেন, বিগত ৯ অক্টোবর থেকে মায়ানমারের মুসিলিম অধ্যুষিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সামরিক জান্তার বর্বরোচিত গণহত্যা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। প্রায় ৪শত রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে নির্দয়, নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, ৩০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে, সাড়ে তিন হাজারের অধিক ঘরবাড়ী ও ফসলী ক্ষেতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মৃত্যুর ভয়ে পলানোর চেষ্টা করলে এদেরকে কুকুরের ন্যায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। নাফ নদীতে ভাসছে শত শত রোহিঙ্গা মুসলমান।
এতদসত্ত্বেও বিশ্ববিবেক নির্লিপ্ত নির্বাক। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে খ্রীস্টান-ইহুদি বসতিতে হামলা হলে সিএনএন, বিবিসিসহ পশ্চিমা মিডিয়াগুলো আগ্রাসী ভূমিকায় অবর্তীন হয়। কিন্তু হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতনে এসব মিডিয়া উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা দৃশ্যমান হচ্ছে না।
অথচ একটি বিড়াল ছানা ড্রেনে পড়ে গেলে উদ্ধারের জন্য পুলিশ আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে উপস্থিত হয়। বিবিসি, সিএনএন ক্যামরা পুরো ছবি তোলার জন্য ঘটনাস্থলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অথচ রোহিঙ্গা মুসলমানদের এই মহা বিপর্যায়ে কারো দায়িত্ব আছে বলে মনে হচ্ছে না।
রোহিঙ্গাদের নাগরিক দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে না এবং নিজ দেশেই তারা শরণার্থী। কেন এরা মুসলমানদের বংশধর? এদের নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা সময়ের দাবি।
প্রধান বক্তা ছাত্রনেতা এম. কফিল উদ্দিন রানা বলেন, জাতিসংঘ মানবিক দিক বিবেচনা নিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় ও সীমান্ত খুলে দিতে হবে। এটা বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের নৈতিক দায়িত্ব বটে। আর যৌক্তিক হলেও বাংলাদেশের অবস্থাও বিবেচনায় নেওয়া উচিত। ষোল কোটির একটি দরিদ্র দেশে আর কতটুকু সম্ভব বিবেচনা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
অনুরূপভাবে মায়ানমার সরকারকে ঐসব রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। ইসলামী ছাত্রনেতা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে অদ্য জুমাবার বিকাল ২টায় জমিয়াতুল ফালাহ্ জামে মসজিদ চত্বরে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলোত্তর প্রতিবাদ সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি ছাত্রনেতা খ.ম. জামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ দক্ষিণ জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক জননেতা শওকত আজিজ, উত্তর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, নগর শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এম. মঈন উদ্দিন চৌধুরী হালিম, ইসলামী ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. আহসান আলম, সহ-সভাপতি এম. আবু সাদেক ছিটু, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. আহমদ রেজা, নগর সভাপতি কাজী সুলতান আহমেদ, আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলিমিন নেতা মো. আবদুল করিম, ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউর রহমান, সাবেক জেলা নেতা আবদুল মালেক রেজভী, ফ্রন্ট নেতা ফয়সাল নেওয়াজ, বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক নেতা এম. জহির উদ্দিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন রোব্বানী, মো. নাসির উদ্দিন, মিজবাহ রহমান, ফোরকান উদ্দিন, আরমান উদ্দিন, মো. ফারুক, মোজাম্মেল বাদশা, মো. গিয়াস উদ্দিন, ইসলামিক ফ্রন্ট ও ইসলামী ছাত্রসেনা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।