বান্দরবান প্রতিনিধি : বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত অভিযানের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিমানের টহলের ফলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। যত দিন প্রয়োজন, ওই এলাকায় অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিলখানায় বিজিবি প্রধান সাংবাদিকদের কাছে বান্দরবান সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এ ছাড়া তিনি সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি উত্তরণে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কেও সাংবাদিকদের জানান।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথ অভিযান চালানোর কথা ভাবছে কি না জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘তারা তাদের সীমান্তে, আমরা আমাদের সীমান্তে অভিযান চালাব। এটিকে এক হিসেবে সমন্বিত অভিযান বলা যায়।
হামলার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে সম্প্রতি আরাকান আর্মির মালামাল বহনের কাজে ব্যবহৃত ১০টি ঘোড়া আটকের ঘটনাটি সামনে এসেছে। এর জের ধরেই তারা বিজিবির ওপর হামলা চালায়।
যৌথ অভিযানে এরই মধ্যে রাঙামাটি রাজস্থলী এলাকা থেকে আরাকান আর্মির সহযোগী অং ওং রাখাইনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গত বুধবার রাতে উপজেলার নয়াঝিরিপাড়া এলাকার একটি ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় সেখান থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পোশাকের কাপড় (৩০ গজ), আরাকান আর্মির পোশাক, তিনটি ল্যাপটপ, দুটি ডিজিটাল ক্যামেরা, ছোট ভিডিও ক্যামেরা, মুঠোফোন, মডেম, দুটি ঘোড়া ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।