পাকিস্তান আর্মিকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট সেনাবাহিনীকে দেশটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আইএসআইয়ের মতো সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও আইন মেনে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশও দিয়েছেন।একই সঙ্গে আদালত কারো ক্ষতি হয় এমন ফতোয়া দেওয়া থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) পাকিস্তানের ডন পত্রিকা আদালতের উদৃতি দিয়ে জানায়, ২০১৭ সালে উগ্রপন্থী ফায়জাবাদে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) ধর্মঘট বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলার নিস্পত্তি করে এই নির্দেশনা দেয়।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আইন অনুসরন করে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে রুল জারী করে।
সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চের রায়ে সরকারকে ‘ঘৃণা, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ’ ছড়াচ্ছে এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালত সব সরকারি সংস্থা ও বিভাগকে তাদের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকে কাজ করতে বলেছে। এই সংস্থাগুলোর মধ্যে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-ও রয়েছে।
এছাড়াও আদালত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে সমর্থন দেয়া এসব কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কোনও সদস্য এসব কর্মকাণ্ডে জড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সমর্থন দিয়েছিল দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী।
১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসের অর্ধেকটা সময়ই শাসন করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের আদালত কারও ক্ষতি করার জন্য ফতোয়া দেয়াও নিষিদ্ধ করেছে।