ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার জনসাধারণের জন্য সহনীয় নয়- অর্থমন্ত্রী

0

 সিটিনিউজবিডি  :    অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার জনসাধারণের জন্য সহনীয় নয়। শনিবার সকালে জাতীয় সংসদের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অধিবেশনে এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের মধ্যে বেশির ভাগই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলোর দেওয়া ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় তাদের জন্য সুদের হার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সহনীয় পর্যায়ে থাকে না।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার সহনীয় পর্যায়ে আনতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন, ২০০৬ এর অধীনে মাইক্রোক্রেডিট অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা লাভের পূর্বে ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরে সাধারণত সুদের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৩৩ শতাংশ ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই হার আরো বেশি ছিল।

এমআরএ প্রতিষ্ঠার পর ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বর্তমানে কার্যকর আছে।

তিনি আরো বলেন, তবে উক্ত ২৭ শতাংশ সুদ হারে দেশের মোট ক্ষুদ্রঋণের কেবলমাত্র ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে বৃহৎ দুটি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ও আশার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ ক্ষুদ্রঋণ ২৬ শতাংশ হারে প্রদান করা হচ্ছে।

এ ছাড়া পিকেএসএফ থেকে ঋণপ্রাপ্ত ২৭২টি প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ সুদ হারে দেশের প্রায় ৩৭ দশমিক ৩০ শতাংশ ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করছে। আবার অনেকেই হতদরিদ্রদের ক্ষেত্রে সুদের হার ৮-২০ শতাংশ নির্ধারণ করে থাকে।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল ব্যয় ব্যাংকের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া এই ঋণ সেবা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো হয় বিধায় ক্ষুদ্রঋণের তদারকি ও আদায় হয় বেশি। যে কারণে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও এই প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ অর্থনীতিতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি দরিদ্র গ্রাহকদের ঋণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.