পেঁয়াজের ঝাঁজ কমে বাড়লো মরিচের ঝাল

0

জাহেদুল হক,সিটিনিউজ : কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আনোয়ারায় মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে খুচরা বাজারে দামের হেরফের ঘটছে। এদিকে আমদানি স্বাভাবিক হওয়ায় পেঁয়াজের ঝাঁজে নাস্তানাবুদ ক্রেতারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও কাঁচা মরিচের ঝালে চিন্তিত ক্রেতারা।

জানা যায়,গত এক সপ্তাহ আগেও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। আর গত দুদিন ধরে সেই কাঁচা মরিচই বিক্রি হয় ২০০ টাকায়। অর্থাৎ মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন,সম্প্রতি টানা বৃষ্টি,দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও ভারতীয় মরিচ না আসায় দাম বেড়েছে। তবে এ কথা মানতে নারাজ সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন,এক সপ্তাহ আগে যে দাম ছিল সেটাও অস্বাভাবিক। তারপরেও এই দাম বাড়াটা অযৌক্তিক। পেঁয়াজ ও মরিচের উৎপাদন কম বলে আমদানি করা পেঁয়াজ মরিচের ওপর নির্ভরতা রয়েছে ঠিকই তবে তা আংশিক। তাই কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার কারণ হিসেবে জানা গেছে,ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। গত দুদিনের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারীতে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

সরেজমিন উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট ও চাতরী চৌমুহনী বাজার ঘুরে দেখা যায়, ধনিয়া ৮৫ টাকা,জিরা ৪০০ টাকা,দারুচিনি ৩০০ টাকা,এলাচ ১৫০০ টাকা,লবঙ্গ ১০০০ টাকা,গোলমরিচ ১০০০ টাকা,জায়ফল ৬০০ টাকা,তেজপাতা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা,হলুদ ১২৫ টাকা,রসুন ১২০ টাকা,পেঁয়াজ ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ১০৫ টাকা ও সরিষার তেল ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রুস্তমহাটের ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব জানান, এবারের ঈদে পাইকারী বাজারে মসলার দরদাম স্থিতিশীল রয়েছে। মসলার দামের ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ পাইকারী দাম যা সে অনুযায়ী খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.