সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে ক্রিয়েটিভ রাইটিং বিষয়ক কর্মশালা
সিটি নিউজ ডেস্কঃঃ সাদার্ন ইউনিভার্সিটি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে ক্রিয়েটিভ রাইটিং বিষয়ক কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন ও প্রধান বক্তা ছিলেন ইংল্যান্ড’র বিখ্যাত লেখক রিচার্ড বিয়ার্ড।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান ’র সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মোজাম্মেল হক ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
দীর্ঘ আলোচনায় রিচার্ড বিয়াড তাঁর বিভিন্ন লেখনির পটভূমি ও অভিজ্ঞতা শিক্ষকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিজের প্রতিভাকে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন লিখনীর মাধ্যমে। ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর জন্য ভাষাগত দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো লেখায় থিম ও উদ্দেশ্য থাকতে হবে। আপনি যা বলতে চান তা লিখে ফেলুন সহজ ভাষায়। আস্তে আস্তে দেখবেন লিখার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। শুরু করতে হবে তবেই শেষ করতে পারবেন।
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ বলেন, বিভিন্ন লেখকের বই পড়ে অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে লিখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে। আমার বিশ্বাস এ ধরনের কর্মশালা শিক্ষকদের ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর প্রতি অনুপ্রাণিত করবে।
উল্লেখ্য, রিচার্ড বিয়ার্ড এর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে লাজারাস ইস ডেড, ড্রাই বোনস অ্যান্ড দামাস্কাস, যা নিউইয়র্ক টাইমসের বছরের উল্লেখযোগ্য সেরা বই হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি যুক্তরাজ্যে বিবিসি ন্যাশনাল শর্ট স্টোরি এওয়ার্ড এবং সানডে টাইমস ইএফজি প্রাইভেট ব্যাংক শর্ট স্টোরি এওয়ার্ড এর জন্য তালিকাভুক্ত হন।
তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস অ্যাক্ট অফ দ্য অ্যাসাসিনস ২০১৫ সালে গোল্ডস্মিথ পুরষ্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়। দি ডে দ্যাট ওয়েন্ট মিসিং সহ চারটি নন-ফিকশন বইয়ের লেখক রিচার্ড বিয়ার্ড দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, দ্য টাইমস, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, প্রসপেক্ট এবং দ্য নাইটওয়াচম্যান’র মত বিখ্যাত মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ও লেখক।
ব্রিটিশ কথা সাহিত্যিক ও নন-ফিকশন লেখক রিচার্ড জেমস বিয়ার্ড ১৯৬৭ সালে ১২ জানুয়ারি, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশুনা করেছেন ক্যামব্রিজ, ওপেন ইউনিভার্সিটি এবং ক্রিয়েটিভ রাইটিং নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট এঙ্গেলিয়া থেকে এমএ ডিগ্রি নেন। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে লন্ডন ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব রাইটিংয়ের পরিচালক এবং জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটিতে ব্রিটিশ স্টাডিজ বিষয়ে অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগের ২২ জন শিক্ষক অংশ নেন। পরে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণকারি শিক্ষকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।