সুশাসনের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের শিখরে বাংলাদেশ
সিটি নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হেনরি কিসিঞ্জারের সেই “তলাবিহীন ঝুড়ি”র মন্তব্যের পর্যায় থেকে আজ বাংলাদেশ মুক্ত হতে পেরেছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে। আজ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। ইতিপূর্বে আরও অনেক সরকার এ দেশ শাসন করেছে কিন্তু সেখানে ঐকান্তিকতার ঘাটতি ছিল। সেবা ও দেশকে সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমের ঘাটতির কারনেই আমরা বিগত দিনগুলোতে তলাবিহীন অচলায়তনে আবদ্ধ ছিলাম।
‘একবার ভাবুন তো মাত্র ১০ বছর আগে দেশের অবস্থানটা কোথায় ছিল?’
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মন্দা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। নিম্নে একটি লেখচিত্র দিতে চাই পাঠকের উদ্দেশ্যেঃ
বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নের্তৃত্ব দিচ্ছে। এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ৬৮টি মিশনের মধ্যে ৫৪টিতে ১,১৮,৯৮৫ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্য অংশগ্রহণ করেছে। শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সদস্য সংখ্যা ৮,৯৩৬ জন যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
এছাড়াও মানবাধিকার ও বিপন্ন মানুষের পাশে থাকার যে অনন্য দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থাপন করেছে তা বাংলাদেশকে বিশ্ব আসরে অনন্য মাত্রা দিয়েছে। এর সকল কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রায় ১১ লক্ষ শরনার্থী আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে এখন শরনার্থী ধারনের দিক থেকে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে ৪ থেকে ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ৩ বছর যাবত টানা প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে অব্যহত রয়েছে। এর অনন্য উদাহরন বাংলাদেশের বাজেট। ১০ বছর আগে বাজেট হত মাত্র ৬৯,৭৪০ কোটি টাকা যা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৪,৬৪,৫৭৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অতি দ্রুত গতিতে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ইউরোপ সমপর্যায়ে যাবে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদগণ। আর এই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালকে টার্গেট করে উন্নয়নের ভিশন তৈরি করে তা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।