জুবায়ের সিদ্দিকীঃ বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবছে চট্টগ্রাম মহানগরী। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হচ্ছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। বৃষ্টিতে ও জোয়ারের পানিতে অলি গলি থেকে শুরু করে তলিয়ে যাচ্ছে প্রধান সড়কও। এতে যানজটের মাত্রা বেড়ে জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
বৃষ্টি না থাকলেও আগ্রাবাদ হালিশহর প্রতিদিন ২বার জোয়ারের পানিতে ডুবছে। একসেস রোড, পোর্ট কানেকটিং রোডসহ নগরীর বেশীরভাগ রাস্তা ভেঙ্গে খাল বিলের রূপ নিয়েছে। পানি নিস্কাশনে নালা বন্ধ থাকা, সময়মত খাল সংস্কার না করা, জলাধার দখল ও ভরাট থাকা ইত্যাদি কারনে নগরী জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
টানা বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ইপিজেড, সিমেন্ট ক্রসিং, বন্দর টিলা, রুবি সিমেন্ট গেইট, স্টিল মিল ও নিউ মুরিং এর প্রধান সড়ক কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে বাসাবাড়ী দোকান পাট, পথঘাট সব জায়গা পানিতে সয়লাব হয়ে পড়ে।
চকবাজার, কাপাসগোলা, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, বহদ্দার,মুরাদপুর, আগ্রাবাদ সিডিএ আসাসিক এলাকা, হালিশহর, বেপারী পাড়াসহ নিম্নাঞ্চলে জমে হাটু পানি। জোয়ারের সঙ্গে ক্রমেই বাড়ে পানি। রাস্তাঘাটে পানি জমে বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। যথারীতি রিক্সার ভাড়া হাঁকা হয় ২/৩ গুন বেশী।
জলাবদ্ধতার কারনে অফিস আদলতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটে। শিক্ষর্থীদেরও পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। হালিশহর ও যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ কম সেখানকার অনেক বাসিন্দাকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে গেখা গেছে।
আগ্রাবাদ হালিশহর এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন নতুন নতুন কথা শোনালেও কাজের কাজ কিছু্ই হচ্ছেনা। জনপ্রতিনিধি ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কোন ব্যাক্তি উপদ্রুত ঐ এলাকা সফর করেননি।
জোয়ারের পানির কারনে আগ্রাবাদ হালিশহর এলাকার হাজার হাজার মানুষ বিনিদ্র রজনী কাটায়, মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারের কোন এমপি, মন্ত্রী ও নেতা এ জনদুর্ভোগ লাগবে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। এতে করে মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।