চট্টগ্রামে আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সংকট থাকবে না

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: শিল্প-কারখানা ছাড়া চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা ২২৪ মিলিয়ন ঘনফুট। এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) যুক্ত হওয়ায় চাহিদার সমপরিমাণ গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা বেড়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল)। ফলে আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সংকট থেকে মুক্তি মিলছে বলে দাবি করেছেন কেজিডিসিএলের কর্মকর্তারা।

কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে গ্যাসের গ্রাহক প্রায় ৬ লাখ। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লাখ ৮০ হাজারের বেশি। বাকিগুলো শিল্পখাত পর্যায়ের গ্রাহক।

চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে শিল্পখাত পর্যায়ে চাহিদা রয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। ২২৪ মিলিয়ন ঘনফুট আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের চাহিদা। কিন্তু বর্তমানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্যাসের চাহিদা থাকছে ওই ২২৪ মিলিয়ন ঘনফুট।

অথচ এলএনজি যুক্ত হওয়ার আগে গ্যাস সরবরাহ করা হতো ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের জন্য চট্টগ্রামে আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সংকট দেখা যেত। কিন্তু শনিবার (১১ আগস্ট) এলএনজি যুক্ত হওয়ার পর গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে ২২৪ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ অতিরিক্ত ৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়ছে এলএনজি থেকে।

কেজিডিসিএলের জেনারেল কাস্টমার কর্মকর্তা অনুপম দত্ত বলেন, বর্তমানে গ্যাসনির্ভর বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই আবাসিক গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে। এলএনজি থেকে বর্তমানে ৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হলেও ধীরে ধীরে তা বাড়বে। একসময় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাহিদাও তখন মেটানো যাবে।

কেজিডিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল হক বলেন, এলএনজি যুক্ত হওয়ার পর অতিরিক্ত ৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে। যা এতদিন আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে সংকট ছিল। আশা করছি কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো সমস্যা না হলে চট্টগ্রামে আবাসিক পর্যায়ে কোনো গ্যাস সংকট থাকবে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.