ভবিয্যৎ প্রজম্মকে শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান গড়ে তুলতে হবেঃ মেয়র 

0

সিটি নিউজঃ রোগমুক্ত , সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান আগামী প্রজম্ম গড়তে চট্টগ্রাম নগরীতে আজ শনিবার দিনব্যাপি উদযাপিত হলো জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৯ । এই উপলক্ষে আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত আন্দরকিল্লা নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র – এ একটি শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে জাতীয় ভিটামিন “এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাগতিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরলাল হাজারী। চসিক স্বাস্থ্য স্ট্যন্ডিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হক উিউক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আলী। এই সময় উপস্থিত ছিলেন মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের ইনচার্জ ডাক্তার আশীষ মুখার্জি ,ডাক্তার ইমান হোসেন রানাসহ জোনাল মেডিকেল অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন বর্তমান সরকার আগামী প্রজম্মকে সুস্থ ও দেহ ও মনের অধিকারী গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্ঠিজনিত সমস্যা,যা ভিটামিন “এ” অভাবে হয় । তাই সরকার সবধরণে অপুষ্ঠি রোধে জাতীয় পুষ্ঠিসেবা কাযক্রমসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে।

তিনি বলেন এই অপুষ্ঠিজনিত রোগ প্রতিরোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করে সরকার। বর্তমানে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এর ফলে রাতকানা রোগ ও অন্ধত্বের হার বর্তমানে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি নগরবাসিকে এগিয়ে আসার আহবান জানান মেয়র। তিনি বলেন, অন্ধত্বের মত অভিশাপ আর কিছু নেই। নিজেদের অজ্ঞতার কারনে জন্মের পর শিশুরা অন্ধহয়ে যায়।

অভিভাবক বিশেষ করে মা ও বাবা কে সচেতন হতে হবে । এই কর্মসূচি থেকে যাতে একটি শিশু যেন বাদ না পড়ে, সেই জন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগর স্ব্স্থ্যা সহ সংশ্লিষ্ঠ টীকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে । এই সময়ের মধ্যে নিজ নিজ শিশুকে পার্শ্ববতী সেন্টারে নিয়ে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান মেয়রের। ভিটামিন “এ” কাম্পেইন কর্মসূচি সেবক কলোনী থেকে শুরু করার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন এই কলোনীর লোকজন ভিটামিন“এ” প্লাস সম্পর্কে অন্যান্য এলাকার মতোই সচেতন নয় । তারা পশ্চাৎপদ রয়ে গেছে।

তাদেরকে ভিটামিন “এ” প্লাস সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। মেয়র নাছির বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১২৮৮ টি কেন্দ্রে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৮০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ও ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

এতে নগরে অবস্থিত সকল সরকারি – বেসরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত কর্মকর্তাগন ছাড়াও প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক , চসিক জোনাল অফিসার , মেডিকেল অফিসার ,ইপিআই টেকনিশিয়ান , সুপারভাইজার ,স্বাস্থ্য সহকাররি , টীকাদান ও স্বাস্থ্যকর্মী এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন । এই কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় , স্বাস্থ্য অধিদপ্তর , জাতীয় পুষ্ঠি প্রতিষ্ঠান ,ব্শ্বি স্বাস্থ্য সংস্থা ,ইউনিসেফ , বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম , বিভিন্ন এনজিও সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ঠদের ধন্যবাদ জানান মেয়র।

২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড ঃ ২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। এই কর্মসূচীর আওতায় দেওয়ানবাজর ওয়ার্ডে প্রায় ১২০০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এ সময় ওয়ার্ডের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.