রূপালী গীটারের বরপুত্র আইয়ুব বাচ্চু

0

আবছার উদ্দিন অলি,সিটি নিউজ : কিংবদন্তী ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু চিরদিনের মত আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। গীটার হাতে আর কখনো তাকে দেখা যাবেনা, দেখা যাবেনা কোন মঞ্চে, এমনকি গাইবেনা আর কোন গান। এই রূপালি গীটার পেলে চলে যাবো একদিন, হাসতে দেখো গাইতে দেখো, সুখেরি পৃথিবী, সুখেরি অভিনয়, সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলো, তারা ভরা রাতে, ফেরারী এই মনটা আমার, ঘুম ভাঙ্গা শহরে, তিন পুরুষ, আমি বার মাস তোমায় ভালবাসি, আম্মাজান আম্মাজানসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সংগীত তারকা আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামের গৌরব। চট্টগ্রামের আইয়ুব বাচ্চু বাংলাদেশের আইয়ুব বাচ্চু উপমহাদেশের আইয়ুব বাচ্চু আমাদের আইয়ুব বাচ্চু।

বড় অসময়ে চলে গেলেন পরপারে। ১৮ অক্টোবর ২০১৮ সকাল ৯ টায় ৫৬ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রেখে গেছেন রাজকন্যা নামের এক মেয়ে এবং তাজওয়ার নামে এক ছেলে। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ইছহাক ও মাতার নাম নূর জাহান। আইয়ুব বাচ্চুর সুনাম সু-খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে পৌঁছে গেছে। তিনি চট্টগ্রামের অহংকার। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গিয়ে আইয়ুব বাচ্চুর তারকা খ্যাতি ও আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তার গাওয়া শতাধিক সুপার হিট গান আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে করেছে সমৃদ্ধ ও বর্ণাঢ্য।

চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজার জুবিলী রোড এলাকায় জন্ম আইয়ুব বাচ্চুর, তার ডাক নাম রবিন। নগরীর মুসলিম হাই স্কুলে তিনি পড়ালেখা করেছেন। কৈশোর থেকেই সঙ্গীতপাগল ছিলেন তিনি। পাড়ায় প্রায় সকল অনুষ্ঠানেই তার উপস্থিতি ছিল। তবে প্রথমে ছিলেন শ্রোতা। বেশি আগ্রহ ছিল গিটারসহ বাদ্যযন্ত্রগুলোর প্রতি। শুর“টি হয়েছিল গিটারিস্ট হিসেবে। একটানা প্রায় এক দশক কেটে যায় গিটার হাতে। সে কারণে সঙ্গীত শিল্পীর চেয়েও তার পরিচিতি বেশি হয় গিটারবাদক রূপে। পাড়া মহল্লায় বিয়ে সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছেন দল নিয়ে।

আইয়ুব বাচ্চুর নানার বাড়ি নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায়। এখানে কেটেছে তার শৈশবের অনেক দিন। চট্টগ্রামে এলে তিনি সেখানেই থাকতেন। শনিবার প্রথমে বিমান বন্দর থেকে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে মাদারবাড়ি এলাকায় তার মরদেহ রাখা হয়। সর্বস্তরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বাদে আছর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে শিল্পীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে চৈতন্যগলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। শিল্পীর সঙ্গীত জীবনের সূচনা হয় ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৮ সালে তার প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ সাল থেকে পরবর্তী এক দশক পর্যন্ত সম্পৃক্ত ছিলেন এই ব্যান্ডে। সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। পরে এই নামে অস্ট্রেলিয়াতে আরেকটি ব্যান্ড থাকায় বদলে করা হয় লাভ রানস বাইন্ড।

তার প্রথম একক এ্যালবাম প্রকাশ পায় ১৯৮৬ সালে ‘রক্তগোলাপ নামে’। আর ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয় এলআরবির প্রথম এ্যালবাম এলআরবি। এরপর একে একে আসা এই ব্যান্ডের অন্য এ্যালবামগুলো সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারী মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬), আমাদের বিষ্ময় (১৯৯৮), মন চাইলে মন পাবে (২০০০), অচেনা জীবন (২০০০), অচেনা জীবন (২০০৩), মনে আছে নাকি নেই (২০০৫), স্পর্শ (২০০৮), যুদ্ধ (২০১২) প্রকাশ পায়। একক এ্যালবামের মধ্যে রক্তগোলাপের পর রয়েছে ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি! (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির টানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্টস্ট্রুমেন্টাল ২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)। এ ছাড়াও প্রচুর মিশ্র এ্যালবামে কাজ করেছেন।

সোলস ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ নেওয়াজ বলেন, ১৯৭৩ সালে সুরেলা ব্যান্ডের জন্ম হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে জন্ম নেয় সোলস। শুরুতেই ঐ বছরেই আমাদের সাথে যোগ দেয় তপন চৌধুরী এবং ১৯৭৫ সালে যোগ দেন নকীব খান। সর্বশেষ ১৯৮২ সালে সোলস ব্যান্ড আইয়ুব বাচ্চুর পদার্পন ঘটে। এর পর নগরীর দেওয়ান হাটে চুইংকিং রেস্টুরেন্টে আমার সাথে তার প্রথম পরিচয়। সেই থেকে দীর্ঘ দিনের বন্ধন আইয়ুব বা”চুর সাথে আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।

সোলস ব্যান্ড থেকে চারটি এ্যালবামে আইয়ুব বাচ্চু আমাদের সাথে ছিলেন। লীড গীটারিস্ট হিসেবে যোগ দিলেও পরে বাংলা ও ইংরেজী গান করতেন। সোলস এর স্বর্ণযুগ সময়ে আইয়ুব বাচ্চু আমাদের সাথে ছিলেন। তবে দুঃখের বিষয়, এত জনপ্রিয় গান করার পরে তাকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়নি। দাবি জানাচ্ছি মরণোত্তর হলেও জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার। মুঠোর ভিতর পদ্ম নিয়ে, ঘুম ভাঙ্গা শহরে কলেজের করিডোরে ফেরারী মনটা আমার, চাঁদ এসো কি, দেখ দেখি জনতা, তুমি আমি নয় আজ চল গাই গান, সোলস্ এর এই গানগুলো আইয়ুব বাচ্চু সুর করেছেন।

সোলসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুব্রত বড়ুয়া রনি জানান, আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। মুসলিম হলের যে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে, সেখানে যেন আইয়ুব বাচ্চুর নামে একটি বিভাগের নামকরণ করা হয়। এবং তার বাদ্যযন্ত্র গীটার, গানগুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়।

চট্টগ্রাম মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি আর আইয়ুব বাচ্চু, আমরা ছিলাম অন্তরঙ্গ বন্ধু। আমি থাকতাম অভয়মিত্রঘাট, কুমার বিশ্বজিৎ থাকতো আলকরনে, আইয়ুব বাচ্চু থাকতো এনায়েত বাজারে। অল্প দুরত্বের তিন বন্ধুর অবস্থান আমাদের বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করেছে। আইয়ুব বাচ্চু আর কুমার বিশ্বজিৎ ঢাকা চলে গেলেও আমি চট্টগ্রামে থেকে যাই। কিন্তু আমাদের তিন বন্ধুর বন্ধন এতটাই সুদৃঢ় ছিল যে, এখনো পর্যন্ত তা বিরাজমান রয়েছে। এক মুহুর্তের জন্যও কেউ কাউকে ভুলতে পারি নাই। সে তিনজনের একজনের চলে যাওয়া আমাকে কতটা ব্যথিত করেছে, তা বলে বোঝাতে পারবো না। আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামে আসলে এবং চট্টগ্রাম থেকে গেলে আমাকে ফোন করবেই। দীর্ঘকালের আমাদের যে বন্ধুত্ব, তা এ সময়ে খুবই বিরল।

জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, বাচ্চুর সাথে আমার ৪৫ বছরের বেশি সম্পর্ক। বাচ্চু ছাড়া আমি নিজেকে খুব একা অনুভব করছি। এই উপমহাদেশে যে ক’জন বিখ্যাত মিউজিশিয়ান আছেন তাদের মধ্যে বাচ্চু একজন। আইয়ুব বাচ্চু সবাইকে সহজে আপন করে নিতে পারতো। তার গায়কী এবং গিটার বাজানো এটি একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। আইয়ুব বাচ্চু ব্যান্ড জগতের আইকন। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখার আছে। বড় অসময়ে তার চলে যাওয়া আমাদেরকে কষ্ট দেয়। বাচ্চুর জনপ্রিয় গানগুলো শ্রোতারা শুনছে। এটি বাচ্চুর বড় সার্থকতা।

জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তপন চৌধুরী বলেন, আইয়ুব বাচ্চুর গান, স্টেইজ শো, টেলিভিশনে পারফরম্যান্স, সব ক্ষেত্রেই আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। গীটার বাজানো দিয়ে তার গান শুরু দর্শকরা অন্যভাবে উপভোগ করতো। তরুণ প্রজন্মের কাছে আইয়ুব বাচ্চু ছিল প্রাণপুরুষ। স্টেইজে উঠা মাত্রই আইয়ুব বাচ্চুকে দেখে দর্শকদের যে আনন্দ-অনুভূতি, সেটি খুব কম শিল্পীর বেলায় ঘটে। বা”চুর মৃত্যুতে আমাদের ব্যান্ড সঙ্গীতাঙ্গনে বড় ধরণের শূন্যতা সৃষ্টি হলো। কোন ষ্টেজে কোন পরিবেশে শ্রোতাদের মন বুঝে কি গান গাইতে হবে সেটি আইয়ুব বাচ্চু সবচেয়ে ভাল বুঝতেন। শ্রোতাদের বুক ভরা ভালোবাসা তাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।

অসময় ব্যান্ড এর আসাদুর রহমান আসাদ বলেন, কোনভাবে মেনে নিতে পারছি না বাচ্চু ভাইয়ের এই অসময়ে চলে যাওয়াটা। আমরা আর শুনতে পাবনা বাচ্চু ভাইয়ের গিটারের যাদু, আর শুনতে পাবো না বাচ্চু ভাইয়ের কন্ঠে গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো। হাসতে দেখ, হকার, মাধবী, সেই তুমি, ফেরারী মন এর মত জনপ্রিয় গানগুলো। আমি ছোটবেলা থেকে বাচ্চু ভাইয়ের একজন পাগলভক্ত। যেখানে কনসার্ট হতো ছুটে চলে যেতাম বাচ্চু ভাইয়ের অনুষ্ঠান দেখার জন্য। চট্টগ্রাম ভার্সিটি, দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠ সহ বিভিন্ন কলেজে ছুটে যেতাম এই প্রিয় মানুষটি কে একটু দেখার জন্য। ৯০ এর পরে ব্যান্ডের যে জয়জয়কার, সেটা বা”চু ভাই দেখিয়েছে। তবুও সুখ, ঘুমন্ত শহরের মত এলবাম যখন বাজারে আসে, তখন ব্যান্ড জগতে নতুন মাত্রা যোগ হয়। ব্যান্ড গানের জোয়ারা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাচ্চু ভাই আমাদের মাঝে আজীবন বেচে থাকবে গানে গানে। আমি খুবই সৌভাগ্যবান, আমরা এনায়েত বাজারের সন্তান। এনায়েত বাজারে আমাদের জন্ম।

গীতিকার ফারুক হাসান বলেন, তার লিখা গানের শব্দ চয়ন আমাদের মনের মাঝে আলোকিত করে। তার লেখা গান, তারা ভরা রাতে, সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে, এ গানগুলো তরুণ প্রজন্মদের মনে সব সময় উদ্বেলিত করে। তার গায়কী স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য সবার মনে আজীবন চির জাগরুক হয়ে থাকবে। জীবদ্দশায় স্বীকৃতি তিনি পাননি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের দাবি, তাকে সম্মান জানানো হোক।

চলচ্চিত্র পরিচালক এ.কে. সোহেল বলেন, অনন্ত প্রেম দাও আমাকে, আম্মাজান-আম্মাজান, এই দুইটি গান-ই সুপার-ডুপার হিট। চিত্র নায়ক মান্নার অনুরোধে আইয়ুব বাচ্চু ছবিতে এ গানগুলো করেন। এবং অধিকাংশ মান্নার ছবির প্লে-ব্যাক আইয়ুব বাচ্চু করেছেন এবং তা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।

সংবাদ পাঠক জামিল আহমেদ চৌধুরী বলেন, সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবুও কিছু কিছু মানুষের অকালে চলে যাওয়া সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। যে মানুষটি এত জনপ্রিয় গান আমাদের উপহার দিয়েছেন, তাকে কি সহজে ভুলা যায়? ব্যান্ড জগতের কিংবদন্তি আমাদের চট্টগ্রামের গর্ব। এমন গুণী শিল্পীর এ অসময়ে চলে যাওয়া পুরো বিশ্বের সঙ্গীত জগতে এক অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো। এ প্রিয় শিল্পীর প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, কি বলবো? প্রিয় শিল্পীর এমন মৃত্যু কখনো কল্পনা করিনি।

নাটাই ব্যান্ডের মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, আইয়ুব বাচ্চু সব সময় নতুন জেনারেশনের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে দিতেন। আমাদের অনেক ভালবাসতেন। আমি যখন প্রথম গীটার শিখি, তখন থেকে উনি আমার আইডল। আমরা বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি থেকে একজন নক্ষত্রকে হারিয়ে ফেললাম। যে নক্ষত্র আর কখনো আসবে না।

জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেন, আইয়ুব বাচ্চু সবার প্রিয় শিল্পী ছিলেন। কাউকে না বলে হঠাৎ করে যেন চলে গেলেন আইয়ুব বাচ্চু। এত বড় মাপের শিল্পী সহজে পাওয়া যায় না। তিনি যেভাবে গান গাইতেন, শত বছর পূর্বেও কিংবা শত বছর পরেও এমন শিল্পী আসেনি এবং আসবে না।

ব্যান্ডশিল্পী নকীব খাঁন বলেন, আইয়ুব বাচ্চু আমাদের ব্যান্ড সঙ্গীতকে জয় করেছে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছেন বিশ্বব্যাপী। তার গান এখন শ্রোতাদের মুখে মুখে। এমন শিল্পীর জন্ম একবারই হয়। এতগুলো হিট গান যা কল্পনাও করা যায় না। আমি আইয়ুব বাচ্চুর গানগুলো সংরক্ষণের দাবী জানাচ্ছি।

চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নাফিসা বলেন, নতুন প্রজন্ম যদি তার গায়কীর ধরণ থেকে কিছুটাও শিখতে পারে, সেটাই হবে তার প্রতি ভালবাসা জানানোর সুন্দরতম কৌশল।

রূপালী গীটারের বরপুত্র আইয়ুব বাচ্চু গানে গানে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। তার রেখে যাওয়া গানগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম গেয়ে যাবেন তার স্মৃতি ও স্মরণে। ১৮ অক্টোবর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আইয়ুব বাচ্চু’র প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

       আবছার উদ্দিন অলি

 

 

 

লেখক- কলামিস্ট ও গীতিকার

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.