চট্টগ্রামে‘নতুন সড়ক পরিবহন আইন’নিয়ে সচেতনতামুলক প্রচারণা

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  দেশব্যাপী নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শির্ক্ষাথীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার নতুন সড়ক পরিবহন প্রনয়ণ করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইন সম্পর্কে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, হেলপার ও পথচারীদের সম্মিলিত উদ্যোগে আইন বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে।

নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলেও আইনের পূর্ণ বাস্তবায়নে কালক্ষেপন শুভ হবে না। এই আইনের বিধি তৈরী না হওয়ায় বিধি-বিধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় কিছুটা বিভ্রান্তি হলেও আইন প্রয়োগে দ্রুত উদ্যোগ দরকার। এই আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। আইন লংঘনে বেড়েছে জরিমানার অঙ্কও। নতুন এই আইন সম্পর্কে সকল মহল এখনো অসচেতন। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও জোরালো কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর নগরীর জিইসি চত্বরে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক পরিহন আইন ২০১৮ সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্ঠিতে প্রচারণা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রচারণা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্ভোধন ঘোষনা ও মালিক, চালক এবং যাত্রীদের কাছে লিফলেট বিতরণ করেন চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন মেয়র আলহাজ্ব আজম নাছির উদ্দীন।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রেখেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক(উত্তর) আমির জাফর, বিআরটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক, ওভ্যাট’র সোহেল আক্তার খান, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হাজী আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, ক্যাব আবকর শাহ থানা সাধারন সম্পাদক দিদারুল আলম প্রধান, ক্যাব পাচলাইশের যুগ্ন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাও এর সভাপতি জানে আলম, সেলিম সাজ্জাদ, ক্যাব হালিশহরের আমদাদুল করিম সৈকত, ক্যাব খুলসীর ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, ক্যাব জামাল খানের সভাপতি সালাহউদ্দীন, সাধারন সম্পাদক নবুয়ত আরা সিদ্দিকী, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব বন্দরের আলমগীর বাদসা, লিও ক্লাব্ অব ইম্পিরিয়াল সিটির সভাপতি মহিউদ্দীন সিরাজ, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ, নোমান উল্লাহ বাহার, ইয়াসির সাবিত, কায়েমুর রশিদ বাবু, এমএ সিদ্দিক, সামির আকাশ, সব্যচাষী দেবনাথ, মিঠুন নাথ, ক্যাব পাচলাইশের হুমায়ুন কবির, মইনউদ্দীন, ক্যাব মোহরার রুবি খান, সামির আকাশ, পরিবহন মালিক এম এন পুতু প্রমুখ।

চসিক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন পরে পথচারী, পরিবহন মালিক, শ্রমিকদের মাঝে লিফলেট বিতরন করে কর্মসুচির শুভ সুচনা করেন। এর পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করেছেন। আইন সম্পর্কে পরিবহন মালিক, শ্রমিক এবং যাত্রীদের সচেতন করার জন্য ট্রাফিক, বিআরটিএ, ক্যাবসহ অন্যান্য সংগঠনগুলিকে অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন এই আইন সম্পর্কে প্রচারণা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে যাবেন। ট্রাফিক বিভাগ ও বিআরটিএ আইন প্রয়োগে আরও যত্নবান হবেন, পরিবহন মালিকরা শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, যাত্রী ও চালকদের স্বার্থ সংরক্ষন করে ও বৈধ লাইসেন্সধারীদের চালক নিয়োগ প্রদান করে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার আহবান জানান।

বক্তাগণ বলেন, সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে একটি বড় সমস্যা। সড়ক-মহাসড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেকারনে সরকার সড়ক পরিবহন আইন নতুন করে প্রণয়ন করেছেন। আইন সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে পরিবহন মালিক, চালক ও পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আর এই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা কর্মসূচি পরিচালনা দরকার। সড়কে চলাচলরত পথচারীদের আইন মেনে চলার আহবান জানান। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধুমাত্র চালককে দায়ী করলে হবে না, পথচারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে জেব্রা ক্রসিং, পদচারীসেতু, পাতালপথসহ নির্ধারিত স্থান দিয়া পার না হলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তাই এখন আর হেয়ালিপনায় যত্রতত্র পথ পাড়ি না দিয়ে আইনের বিধান মানতে এগিয়ে আসার জন্য পথচারীদের প্রতি আহবান জানান।

বক্তারা আরও বলেন পরিবহন আইনে মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীর জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে কাউকে আহত করলে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও তিন বছরের জেল হতে পারে। নতুন আইনে চালকদের লাইসেন্স পেতে অষ্টম শ্রেণি, সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস নিশ্চিত করে সাবধানে গাড়ি চালানোর আহবান জানান।বিজ্ঞপ্তি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.