দেশের মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দেবোঃ শেখ হাসিনা

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের জন্য আমার জীবনটা উৎসর্গ করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণে যা যা প্রয়োজন সবই করবো। প্রয়োজনে বাবার মতো আমার জীবনও যদি দিতে হয়, তাও আমি দেবো।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টিতে জিয়াউর রহমানের হাত রয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৭ সালে জিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সৃষ্টি করেছিলেন। আর ৭৮ ও ৭৯ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি করেন। তবে আমরা সব সমস্যার শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে বিশ্বাস করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আগেই বলেছি, বাংলাদেশের মাটিতে থেকে, মাটি ব্যবহার করে কেউ কোনো দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা, সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাবে এটা হতে পারবে না। বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবো না। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করা যাবে না। কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব- এই নীতিতে আমরা বিশ্বাসী।

এরআগে আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছি। শুধু ভারত ও চীন নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে বর্ডার সম্পৃক্ত রয়েছে এমন দেশগুলোর (ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, লাউস) সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। আমি চীন সফরে গিয়েছিলাম, চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট কথা দিয়েছেন এ বিষয়ে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ভারত সফরে গিয়েছিলাম। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রত্যেকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। তারা চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান অনুধাবন করছেন। তবে তারা চান তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের যে সর্ম্পক রয়েছে সেটা বজায় রেখেই রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চেয়েছে। রোহিঙ্গারা যাবে কিন্তু হঠাৎ করে এরমধ্যে তারা নিরাপত্তার অজুহাতে বেঁকে বসলো। রোহিঙ্গারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এখন এটা মিয়ানমারের ওপর নির্ভর করছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের নিয়ে যাওয়া। এই সমস্যা সমাধানে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। আলোচনা চলছে। ভারত ও চীন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছে। তারাও আলোচনা করছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.