বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একাকার হয়ে গিয়েছিলোঃ ফখরুল

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমান সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এই জাতিকে একটি স্বতন্ত্র দিয়েছিলেন, একটি পরিচয় দিয়েছিলেন। সেজন্য যখন তিনি শাহাদাত বরণ করলেন, তার জানাজায় লক্ষ লক্ষ ক্রন্দনরত মানুষের সামনে ইমাম সাহেব আল্লাহর দরবারে হাত তুলে এই কথা প্রার্থনা করলেন যে, আল্লাহ বাংলাদেশকে হেফাজত করুন। তখন সেই লাখ লাখ মানুষ ঢুকরে কেঁদে উঠেছিলো। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একাকার হয়ে গিয়েছিলো। সেই কারণে জিয়া, জিয়ার দর্শন, জিয়ার ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজো এতো প্রিয়।

আজ শনিবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিকাল সাড়ে তিনটায় ভার্চুয়াল আলোচনা শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৫টায়। সভায় নেতারা জানান, গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় দলের চেয়ারপার্সন অসুস্থ খালেদা জিয়া ও লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইন্টারনেটে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা শুনেন।

করোনাভাইরাস সংক্রামণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল আলোচনা নতুন অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, একেকটা এই ধরণের মহামারীর পরে পরিবর্তন আসে, যুগের পরিবর্তন হয়, সভ্যতার পরিবর্তন হয়ে যায়। আসুন আমরা আজকে আমরা সবাই মিলে এই পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। গণতন্ত্রের মুক্তি হোক এবং মানুষের মুক্তি হোক। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক এবং পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশ মুক্তি পাক-এই হলো আজকে আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান যা একেবারেই আমাদের জন্য নতুন বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের কাছে এটা একেবারেই নতুন। অনেকে আমাকে বলেছেন, সামনে শ্রোতা থাকবে, দর্শক থাকবে না- আমরা কার সামনে বক্তব্য রাখবো। আপনি আজকে তিন লাখের উপরে মানুষের সামনে, চার লাখের উপরে মানুষের সামনে বক্তব্য রেখেছেন। সুতরাং পরিবর্তনটাকে ধরতে হবে।

জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এই জাতিকে একটি স্বতন্ত্র দিয়েছিলেন, একটি পরিচয় দিয়েছিলেন। সেজন্য যখন তিনি শাহাদাত বরণ করলেন, তার জানাজায় লক্ষ লক্ষ ক্রন্দনরত মানুষের সামনে ইমাম সাহেব আল্লাহর দরবারে হাত তুলে এই কথা প্রার্থনা করলেন যে, আল্লাহ বাংলাদেশকে হেফাজত করুন। তখন সেই লাখ লাখ মানুষ ঢুকরে কেঁদে উঠেছিলো। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একাকার হয়ে গিয়েছিলো। সেই কারণে জিয়া, জিয়ার দর্শন, জিয়ার ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজো এতো প্রিয়।

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে কাবু করে ফেলেছে। এই ধরনের মহামারীর পরে রাজনৈতিক-সামাজিক এবং বিশ্ব ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। আমি প্রত্যাশা করবো এই পরিবর্তনে যাতে করে বাংলাদেশে সত্যিকারভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, যাতে করে অর্থনৈতিক মুক্তি, যার জন্য জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো, যাতে করে সামাজিক যে দুরবস্থা, যে লুটেরা ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে সেসব দূর হয়। সেজন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা আছেন তাদের প্রতি আমরা আহবান আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন।

মির্জা ফখরুলের পরিচালনায় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বক্তব্যে রাখেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.