চমেক হাসপাতালে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি

0

মহসীন কাজী : চট্টগ্রাম বিভাগের সবচে’ বড় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চলমান মহামারী শুরুর পর ঢাকার মানুষের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক হাজার শয্যার কোভিড ওয়ার্ড চালু করলেও চমেক ছিল নির্বিকার। কতিপয় মতলববাজের ইশারায় করোনা সংক্রমণের শুরুতে বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটির পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

পরবর্তীতে সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত এক বৈঠকে চমেক হাসপাতালের করোনা রোগী এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সেদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেখানে করোনা ওয়ার্ড চালুর। এপ্রিল মাসে ১০০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড চালু হয়। বর্তমানে এ শয্যা পূর্ণ হয়ে হাসপাতালের বারান্দায়ও করোনা রোগী রাখা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম করোনা হটস্পট হয়ে উঠার পর দাবি উঠেছে চমেক-এ কোভিড শয্যা অন্ততঃ ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার। অবশ্য দাবিটির পেছনে যৌক্তিকতাও রয়েছে। চমেক হাসপাতালে দাবিকৃত শয্যা চালানোর মতো ডাক্তার, নার্সসহ জনবল রয়েছে। তাছাড়া করোনা শুরুর পর হাসপাতালটিতে রোগী কমেছে প্রায় ৭০ ভাগ। আউটডোরে রোগীর লাইন নেই মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। এখন প্রতি বিভাগে রোগী যায় মাত্র ৬/৭ জন। করোনার আগে যেখানে এক লাইনে চিকিৎসা নিতো দুই শতাধিক। বিদ্যমান ওয়ার্ডগুলোকে কোভিড হিসেবে ব্যবহার না করলেও ব্যবহার করা যায় অব্যবহৃত ডেন্টাল ইউনিটসহ অন্যান্য নতুন ভবন।

প্রথমে বলা হয়েছিল অন্যান্য রোগীদের নিরাপদ রাখতে চমেকহাকে কোভিডমুক্ত রাখা হয়। এটাও কতিপয় মতলববাজের প্রচার। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখানে বলতে গেলে রোগী আসা তলানিতে নামে। তাছাড়াও করোনা রোগীরা পূর্ব থেকে অন্যান্য আক্রান্ত থাকলে চমেকে চিকিৎসা দেয়া যত সহজ অন্য হাসপাতালে তা দুরূহ। কারণ এখানে সকল রোগের বিশেষজ্ঞ আছেন। অক্সিজেনসহ অন্যান্য চিকিৎসা উপাদানও চমেকে সহজলভ্য।

করোনা হটস্পট চট্টগ্রামকে বাঁচাতে চমেক হাসপাতালে কোভিড শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
লেখক : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম-মহাসচিব।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.