মুক্তিযোদ্ধা ডা: আলী আশরাফকে রাষ্ট্রীয় সন্মাননা প্রদান না করায় মানববন্ধন

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ডা: আলী আশরাফ কে যথাসময়ে রাষ্ট্রীয় সন্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান না করেই গত সোমবার কবর দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে বিক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ড বাঁশখালীর পক্ষ থেকে দুপুর ২ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। এ সময় ব্ক্তারা বলেন এসিল্যান্ড নিজেকে মুক্তিআেদ্ধার সন্তান দাবী করে কিভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অসন্মান করলেন তা তদন্ত করে সবার সামনে প্রকাশ করতে হবে। আর যদি তদন্ত নিয়ে মিথ্যাচার করেন তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় গ্রহন করব বলে জানান।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর দক্ষিন জেলার নেতা ফয়সাল জামিল চৌধুরী সাকির সঞ্চালনে প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, আবুল হাসেম মানিক, আজিমুল ইসলাম ভেদু, সরওয়ার আলম, সিবিএ নেতা জসিম উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা ডা: আলী আশরাফ এর বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন বক্তব্য রাখেন ।

মুক্তিযোদ্ধা ডা: আলী আশরাফ এর বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন বলেন বাঁশখালীর এমপির পরিবারে কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই তাই তারা মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বুঝেনা।তিনি বলেন এমপি ও তার দালালদের কারনে প্রশাসন আমার পিতাকে অসন্মান করেছে।আমার পরিবার জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী আওয়ামীলীগের সংগঠক পরিবার।তিনি বলেন এমপি আমার ভাইকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে দেয়নি। মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক বলেন আমাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সরকারি চাকুরি করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে মিথ্যাচার করে জনগনকে বিভ্রান্ত করবেন না। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত বাস্তবায়ন চাই না হয় আইনের আশ্রয় নেব এবং আরো কঠিন কর্মসুচী দেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।

উল্লেখ্য,মুক্তিযোদ্ধা ডা: আলী আশরাফ গত রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেড়িকেলে ইন্তেকাল করেন। সোমবার সকাল ১১টায় তার নামাজে জানাযার সময় নির্ধারন করা হলেও পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত হলেও প্রশাসনের প্রতিনিধি সহকারি কমিশনার(ভুমি) মো: আতিকুর রহমান যথাসময়ে না পৌছার কারণে গার্ড অব অনার না দিয়ে কবর দেওয়া হয় ।এতে স্থানীয় জনগন ও মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষুদ্ধ হয়ে কর্মসুচী গ্রহন করে । পরে কবরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা এবং কবর জেয়ারত করা হয়। অপরদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালীন তিনি উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে তদন্ত্ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে মুক্তিযোদ্ধার তার সাথে দেখা করেন । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত জানা না গেলেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তোজনা চলছিল। এদিকে সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম , বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার সহ তদন্ত টিম মুক্তিযোদ্ধা ডা: আলী আশরাফ এর বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলছিল বলে জানা যায় ॥

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.