মহেশখালের মুখে স্লুইচ গেইট এক বছরের মধ্যে শেষ হবে- জহিরুল আলম দোভাষ, চেয়ারম্যান, সিডিএ

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়নে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করছেন দীর্ঘদিন যাবত। অতীতে রাস্তাঘাট নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন, ড্রেন নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসন, বৃষ্টির পানি নিস্কাশনসহ নানা উন্নয়ন করার কথা থাকলেও করা হয়েছে শুধু উড়াল সেতু। কোন কোন উড়ালসেতুতে রাস্তা ভাঙ্গা ও বৃষ্টি হলে জলজটের চিত্র নগরবাসী দেখছে। সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরীতে জলাবদ্ধতার যে সব প্রকল্প ছিল তা চালু করেছেন।

সিটি নিউজ বিডি ডট কমের সাথে মঙ্গলবার মধ্যাহ্নে সিডিএ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জহিরুল আলম দোভাষ একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। মহেশখালের মুখে স্লুইচ গেইটের কাজ চলছে, আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হলে জোয়ারের পানি আসা বন্ধ হবে।

চসিক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিডিএসহ সংশ্লিষ্ট্ সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। নগরীর চাক্তাই ও রাজাখালীসহ আরো বারটি স্লুইচ গেইটের কাজ পুরোদমে চলছে। তবে এগুলো শেষ হতে আরো সময় লাগবে। আমরা সব সংস্থা সভা করে কাজের সমন্বয় করতে একমত হয়েছি। স্লুইচ গেইটে ব্যবহার করার জন্য লন্ডন থেকে অত্যাধুনিক পানির মটর আনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যে সব ফাইল দীর্ঘদিন যাবত আলোর মুখ দেখেনি সে সব ফাইল বা প্রকল্প আমি দায়্ত্বি নেওয়ার পর চলমান করেছি। সিডিএর নির্মিত উড়ালসেতু সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলো তদারকির দায়িত্ব এখন তাদের।

চাক্তাই ও রাজাখালীসহ বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় জোয়ারের পানিতে মানুষের যে ক্ষতি হচ্ছে তা দূর করতে সরকার যে প্রকল্পগুলো নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন হলে জোয়ারের পানিসহ জলাবদ্ধতা সমস্যা চলে যাবে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য অনেক প্রকল্প দিয়েছেন। এসব চলমান প্রকল্প সমাপ্ত হলে মানুষ এর সুফল ভোগ করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, বাড়ীর নকশার কাজ মহামারী করোনার কারনে কিছুদিন বন্ধ ছিল। বর্তমানে নকশা প্রনয়নসহ যাবতীয় কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার নগরীর উন্নয়নে আন্তরিক এবং কোটি কোটি টাকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলজট নিয়ন্ত্রনে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন, বর্তমানে নগরীর সাতাশ নং ও চব্বিশ নং ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ দিনে রাতে দুইবার জোয়ারের পানিতে যেমন নিমজ্জিত হচ্ছে সেভাবে খাতুনগঞ্জ, চাকতাই ও বাকলিয়াবাসীও জোয়ারের পানিতে ডুবছেন প্রতিদিন। এই অমানবিক পরিস্থিতি থেকে মানুষ পরিত্রাণ পাবে স্লুইচ গেইট নির্মাণ হলে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.