শ্রদ্ধাভাজন মোজাম্মেল ভাই ও স্মৃতি জাগানিয়া

0

১৯৯৯ সনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মরহুম অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর আমন্ত্রনে আমার শ্রদ্ধাভাজন সম্পাদক মরহুম খোন্দকার মোজাম্মেল হকের সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকা থেকে বিমানের ফ্লাইটে আবুধাবীতে গিয়ে পৌঁছলাম সেখানকার সময় রাত ২টা ৩০ মিটিনে। দূতাবাসের প্রটোকল অফিসার মরহুম হুমায়ুন রাজা ও রাষ্ট্রদূতের বড় ছেলে কাজল ভাই আমাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রদূতের বাসায় নিয়ে গেলেন, সে সময় রাতে বিমানবন্দরে ছিলেন শতাধিক প্রবাসী বাঙালি। শুধু গেদুচাচাকে এক নজর দেখতে।

আমরা প্রায় ১৩ দিন আবুধাবী, দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ্, আল আইনসহ বিভিন্ন শহরে অগনিত অনুষ্ঠানে যোগদান করি। গেদুচাচাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।  আবুধাবী বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুলে এক বিশাল সম্বর্ধনা সভায় মেজাম্মেল ভাইসহ আমি এবং রাষ্ট্রদূত অংশ গ্রহণ করি।

সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী খোন্দকার মোজাম্মেল হককে অনেক সম্মান ও সংবর্ধিত করেছেন দূতাবাসে ও বাংলাদেশী কমিউনিটিতে। আজকের সূর্যোদয় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল মধ্যপ্রাচ্যে। আরব আমিরাতে পর পর তিনবার খোন্দকার মোজাম্মেল হকের সফরসঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।  অত্যন্ত বন্ধুসুলভ ব্যবহার, ধৈর্য্য ও পরিশ্রমি মোজাম্মেল ভাই সহকর্মীদের সাথে ছিলেন বন্ধুর মতো। কখনো তিনি বিরক্তবোধ করতেন না। সব সময় থাকতেন হাসিখুশি। রাগ-অভিমান তাঁর ছিল না। হঠাৎ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ জুন মোজাম্মেল ভাই মারা যান।

এমন একজন অভিভাবককে হারিয়ে আজ তার শূণ্যতাকে খুব বেশী ব্যাথা অনুভব করি। একজন আদর্শবান মানুষ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি জানাচ্ছি শ্রদ্ধা, বিনম্র শ্রদ্ধা।  —– জুবায়ের সিদ্দিকী, সহকারী সম্পাদক, আজাকের সূর্যোদয়।  ২৭/১২/২০২০

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.