মার্কিন ড্রোন হামলায় সিরিয়ায় আল-কায়েদা নেতা নিহত

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন সিরিয়ার জ্যেষ্ঠ আল কায়দা নেতা আবদুল হামিদ আল মাতার। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের মুখপাত্র জন রিগসবি।

বিবৃতিতে রিগসবি বলেন, ‘তিনি নিহত হওয়ায় সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীর নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ফলে মার্কিন নাগরিক, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও নিরপরাধ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এই গোষ্ঠীর হামলার যেসব চক্রান্ত ছিল- তা খানিকটা হলেও বানচাল করা সম্ভব হয়েছে।’

হামলায় এমকিউ-৯ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন জন রিগসবি। আল মাতার ছাড়া আর কেউ এই হামলায় হতাহত হয়নি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

গত ২১ তারিখ দক্ষিণ সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। তার দু’দিনের মধ্যেই আবদুল হামিদ আল মাতারের নিহত হওয়ার সংবাদ এলো।

তবে দু’দিন আগের এই হামলার সঙ্গে আল মাতারের নিহত হওয়ার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না- বিবৃতিতে তা পরিস্কার করেননি মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র। সিরিয়ার কোন অঞ্চলে আল কায়েদার এই নেতা নিহত হয়েছেন তাও বলেননি তিনি।

জন রিগসবি বলেন, ‘আল কায়দা সবসময়েই যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। বর্তমানে তারা সিরিয়াকে নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে বিবেচনা করছে। আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়াতে তারা নিজেদের পুনরায় সংগঠিত করছে।’

গত সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার বিদ্রোহীগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইদলিবে হামলা পরিচালনা করেছিল মার্কিন সেনাবাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগন। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন এই গোষ্ঠীর অপর জ্যেষ্ঠ নেতা সালিম আবু আহমেদ।

ইদলিব ও তার পার্শ্ববর্তী শহর আলেপ্পো বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে হায়াত তাহির আল শাম নামে একটি গোষ্ঠী, যারা মতাদর্শিকভাবে আল কায়দার অনুসারী।

পশ্চিম এশিয়ার দেশ সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বেশ জটিল। নির্বাচিত সরকার থাকা সত্ত্বেও  দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে আল কায়দা, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এবং আইএস। এসব সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত হচ্ছে সিরিয়ার সরকারি ও দেশটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর।

সিটি নিউজ

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.